ছবি: ফাইল
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারদ কাণ্ডে ইডি-র দপ্তরে হাজিরা দিলেন না কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। উলটে কেন তলব করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ইডি আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছেন তিনি। সোমবার চিঠি নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দপ্তরে যান মেয়রের আইনজীবী। প্রসঙ্গত, নারদ কাণ্ডে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার জন্য মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। সোমবারই তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল।
[পাহাড় ও বসিরহাট ইস্যুতে নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ সুব্রতর]
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে নারদকাণ্ডে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, নারদ কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করছে ইডি। নারদ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই জাল গোটাতে শুরু করেছে সিবিআই। তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ ও তাঁর ভাই তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। এরপরই গত বুধবার নারদ কাণ্ডে কলকাতা পুরসভার মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠায় ইডি। পাশাপাশি, তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ ও পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদকেও নোটিস পাঠানো হয়। সোমবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে মেয়রকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ইডি-র দপ্তরে হাজিরা দিলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন সল্টলেকের সিডিও দপ্তরে গিয়ে, কেন মেয়রকে তলব করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে তদন্তকারীদের হাতে একটি চিঠি তুলে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তিনি বলেন, নারদকাণ্ডে হাজিরা দেওয়ার জন্য যে চিঠি পাঠিয়েছে ইডি, তাতে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। তাই ঠিক কী কারণে তাঁকে ডাকা তলব করা হয়েছে, ইডির তদন্তকারীদের কাছে তা জানতে চেয়েছেন তাঁর মক্কেল।
[বসিরহাটে অশান্তির নেপথ্যে কারা, জানতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ মমতার]
জানা গিয়েছে, নারদ কাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে কলকাতার মেয়রের কাছে বেশ কিছু বিষয় জানতে চাইতে পারেন ইডির আধিকারিকরা। কেন মেয়র টাকা নিয়েছিলেন, ম্যাথু স্যামুয়েলের সঙ্গে আরও কোনও বিষয়ে তাঁর কথা হয়েছে কিনা, এসব নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এর আগে নারদ কাণ্ডে টাইগার মির্জাকে জেরা করেছেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ, স্টিং অপারেশন চলাকালীন এই টাইগার মির্জাই কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদের সঙ্গে ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তার বিনিময়ে ম্যাথুর কাছে থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেন টাইগার। ম্যাথু স্যামুয়েলকে শাসকদলের কয়েকজন নেতা, মন্ত্রীর কাছেও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.