সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি-মমতাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতা এবং ব্যঙ্গের বন্যা। একদিকে ‘গো ব্যাক মোদি’, অন্যদিকে ‘বেঙ্গল ওয়েলকামস মোদি।’ শনিবারের শহর কলকাতা এবং ভার্চুয়াল জগতের দেওয়াল ভরেছে এই দু’রকম পোস্টারে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই সমান ‘ট্রোলড’।
রাজভবনে প্রোটোকল মেনে দু’জনের বৈঠক। পূর্বনির্ধারিতই ছিল এই কর্মসূচি। ফেসবুক—টুইটার খুললেই বাঁকা মন্তব্যের ঝড়। প্রতিবাদীরা লিখেছেন, ‘রাজভবনে মেঘে ঢাকা তারা সিনেমাটি দেখানো হয়েছে।মূল সংলাপ, দাদা আমি বাঁচতে চাই।’ মোদি বিমানবন্দর থেকে বায়ুসেনার চপারে চেপে রেসকোর্সের মাঠে নামেন। সড়কপথে না আসা নিয়ে বক্রোক্তি, ‘পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেব, বলেছে পাড়ার দাদারা/ অন্য পাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই।’ অঞ্জন দত্তর বিখ্যাত গানের লাইনটি এদিন বহুল ব্যবহৃত হয়েছে। সঙ্গে পোস্ট করা হয়েছে বায়ুসেনার উড়ন্ত চপারের ছবি। অনেকেই ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সেদিন ছিল ক্যা ক্যা ছি ছি, আর আজ কা ছা কা ছি।’
বৈঠকের পর ফের মিলেনিয়াম পার্কে দু’জনের দেখা হয়। মাঝে রানি রাসমনি রোডে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় ধরনা মঞ্চে যান মমতা। সেখানে এনআরসি, সিএএ—র বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তৃণমূল নেত্রী। একটি বোর্ডে তিনি ‘নো এনআরসি’ লিখে তা চক দিয়ে কেটেও দেন। ধর্মতলা চত্বরে প্রচুর ছাত্রছাত্রী জড়ো হয়েছেন মোদি বিরোধী পোস্টার নিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে লিখেছেন, ‘বুঝতে পারছি না কোনটা ডান পায়ের, আর কোনটা বাঁ পায়ের মোজা।’ এক যুবক লিখেছেন, ‘রাজভবনে মিটিং, রাজপথে ধরনা। মনে পড়ে যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ এবং মিটিংয়ের দিনগুলোর কথা।’ আর একটি ওয়ালে চোখে পড়ে, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ছাত্র যুব বয়স্ক সমস্ত সংগঠন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় গো ব্যাক মোদি জানাচ্ছে রাস্তায়। কিন্তু যিনি আগে থেকেই রাস্তায় ছিলেন তিনি আজ রাস্তা ছেড়ে মঞ্চে।’
মোট কথা মোদি এবং মমতা কাউকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেন ওয়াই। ফেসবুকে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘প্রোটোকলের তোয়াক্কা না করে গুলজারিলাল নন্দাকে বয়কটের হিম্মত দেখিয়েছিলেন সেদিনের মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন। আজকের মমতার সে হিম্মত নেই।’ মিলেনিয়াম পার্ক থেকে জলপথে প্রধানমন্ত্রী বেলুড় মঠে যান। মোদির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য, ‘পাপী তো মন্দিরে যাবেই।’ রসিকতা করে কেউ লিখেছেন, ‘কাল থেকে গঙ্গার জল পবিত্র হয়ে যাবে।’ বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.