অর্ণব আইচ: শহরের বুকে বড়সড় মাদক পাচারচক্রের পর্দা ফাঁস করল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। শুক্রবার রাতে পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে হানা দিয়ে তিন পাচারকারীকে গ্রপ্তার করেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের কাছ থেকে মাদক পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।
[দেশের পঞ্চম ভুলোমনা শহর কলকাতা, জানাচ্ছে নয়া সমীক্ষা]
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই কলকাতায় ঢুকছে ভয়ানক এমডিএমএ মাদক। এমনটাই খবর ছিল এনসিবি-র কাছে। ফলে সন্দেহভাজনদের উপর নজরদারি বাড়িয়ে তুলেছিলেন গোয়েন্দারা। তার জেরেই মেলে সাফল্য। শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, কলকাতার ব্যস্ত পার্ক স্ট্রিট এলাকার একটি অভিজাত রেস্তরাঁয় সামনে ওঁত পাতেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। সেখানে হাতেনাতে ধরা পড়ে উরভিল জয়সওয়াল, গুঞ্জন কুমার সিং ও শুভাশিস নস্কর। ধৃতদের কাছ থেকে ১১.৬ গ্রাম এমডিএমএ মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়।
জানা গিয়েছে, গুঞ্জন কুমার সিং ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার বাসিন্দা। মুম্বইয়ের একটি হোটেলে কাজ করে সে। সেখান থেকেই কলকাতায় মাদক পাচার করত গুঞ্জন। অন্যদিকে উরভিল ও শুভাশিস নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা। কলকাতায় গুজনের সহযোগী ধৃত উরভিল ও শুভাশিস। শহরের পাব ও রেস্তরাঁগুলি থেকে মাদক সরবরাহ করত তারা। মুম্বই থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় এই পাচারচক্র। সেখানেই লুকিয়ে এই চক্রের পাণ্ডা। এনসিবি-র গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, এখনও একাধিক জায়গায় হানা দেওয়া হবে। মূলচক্রীকে ধরতে মুম্বইয়ে গিয়েও অভিযান চালানো হতে পারে।
[বারুইপুরে এনজিও-র ছায়ায় বাড়ছে রোহিঙ্গাদের আনাগোনা, নজর রাখছে প্রশাসন]
একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দ্রুত শিকড় ছড়াচ্ছে এমডিএমএ মাদক। মানুষের চিন্তাশক্তিকে আচ্ছন্ন করে ফেলে এই মাদক। তারপরই নেমে আসে অদ্ভুত প্রশান্তি। প্রফুল্ল হয়ে ওঠে মন। ফলে এর চাহিদাই তুঙ্গে। যান্ত্রিক জীবন থেকে খানিকের নিষ্কৃতির সন্ধানে এর ফাঁদে পা দেয় অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বহু ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে এমডিএমএ-র। মাত্রাতিরিক্ত সেবনে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই বিষ যারা ছড়াচ্ছে তাদের পাকড়াও করতে অভিযান আরও দ্রুত করে তুলেছে এনসিবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.