ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: প্রসূতির রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। সোমবার সকালে হাসপাতালের পিছনের দিকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই মহিলার নাম আছিয়া বিবি। গত বুধবার সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তারপর থেকে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ছিলেন তিনি। রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ আছিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তাঁর স্বামী নূর আলম মোল্লা। সেই সময় আছিয়া চা ও বিস্কুট খেতে চেয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি বাথরুমে যাচ্ছেন। কিন্তু এরপর আর আছিয়ার খোঁজ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ, রাতে বেনিয়াপুকুর থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল। তবে সোমবার সকাল সাড়ে ন’টা পর্যন্ত গৃহবধূর কোনও খোঁজ মেলেনি। আচমকা সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দেহ উদ্ধার করা হয়।
আছিয়া বিবির দেহ প্রসূতি বিভাগের পিছনে এমন জায়গায় পড়েছিল যেখানে উপর থেকে লাফিয়ে পড়া সম্ভব নয়। তাই মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। হাসপাতালের কর্মীদের নজর এড়িয়ে কীভাবে তা সম্ভব হল? এমন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রসূতির পরিবারের সদস্যরাও।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশের পাশাপাশি হোমিসাইড বিভাগের ওসিও আসেন। মেডিক্যাল সুপার ও ভাইস প্রিন্সিপাল অর্ঘ্য মিত্রর উপস্থিতিতেই তাঁরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। কিন্তু এমন ঘটনা কেন ঘটল? হাসপাতাল কর্তপক্ষ মনে করছে যে সংস্থা হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল তাদের গাফিলতি হতে পারে। এমনিতেই ওই সংস্থার কাজে অসন্তুষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানে আবার প্রশ্ন ওঠে, কেন তাহলে এতদিন ধরে ওই সংস্থা নিরাপত্তার দায়িত্বে? ঘটনার তদন্তের জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। এদিকে স্ত্রীকে হারিয়ে শোকবিহ্বল নূর আলম মোল্লা। মাতৃহারা সদ্যোজাত এখনও হাসপাতালে রয়েছে। তার কী হবে? এই চিন্তায় অস্থির তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.