গৌতম ব্রহ্ম: নির্দেশিকা মেনে বারাসত জেলা হাসপাতালের পরিবর্তে রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটকেই কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছে রাজ্য সরকার। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ। জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে এখনই ওই কেন্দ্রে রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব। কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে তৈরি এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পর্যবেক্ষণের তালিকায় থাকা যে কেউ দু’সপ্তাহ স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারবেন বলেই সূত্রের খবর।
করোয়া মোকাবিলায় রাজ্যে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র তৈরির কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছিল বারাসত জেলা হাসপাতালেই হবে কোয়ারেন্টাইন। কিন্তু শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দেশিকায় বলা হয় যে, ষাটোর্ধ্ব, উচ্চ শর্করা, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানিতে আক্রান্তদের করোনার উপসর্গ না থাকলেও তাঁদের ১৪ দিন শহর থেকে দূরে ফাঁকা এলাকায় রাখতে হবে। নির্দেশিকা পাওয়া মাত্রই সাময়িকভাবে বারাসত হাসপাতালের নতুন ভবনে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়। তড়িঘড়ি শুরু হয় অন্য জায়গার খোঁজ। রাতেই সিএনসিআই(SNCI)-এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসকে বেছে নেওয়া হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় কাজ।
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই সেখানে ৪৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “বর্তমানে রাজারহাটে ক্যানসার হাসপাতালে ৪৫০ জনকে রাখার মতো ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া রাজারহাটের শেষ প্রান্তে একটা বড় বাড়ি রয়েছে। ওটা পেয়ে গেলে সেখানে আরও ৪০০-৫০০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, করোনা আতঙ্কে স্তত্র রাজ্য। বন্ধ স্কুল-কলেজ। যে কোনওরকম জমায়েত না করার পরামর্শ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও আপাতত বিড়লা, সায়েন্স সিটি, জাদুঘরও বন্ধ রাখা হচ্ছে। করোনা আতঙ্ক কার্যত স্তব্ধ গোটা বিশ্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.