সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউ নর্মালে লোকাল ট্রেন (Local Trains) পরিষেবা চালুর প্রথম দিনে দৃশ্য চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে রেলকর্তা থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের কপালে। শিয়ালদহ শাখায় ৪৬ শতাংশ লোকাল ট্রেনে ভিড় খুব স্বাভাবিক ঘটনা। বুধবার, প্রথম দিন দিনের ব্যস্ত সময়ে যেভাবে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাত্রীদের যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে, তাতে ট্রেনের সংখ্যা আরও না বাড়ালে যে এই দৃশ্যের বদল ঘটনা সম্ভব নয়, তা বেশ টের পেয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এই সপ্তাহ থেকে লোকালের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার ফের বৈঠকে বসছে রেল ও রাজ্য। ১০০ শতাংশ ট্রেন চালানো নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
কথা ছিল, শিয়ালদহ-হাওড়ায় মোট ৬৯৫টি ট্রেন চলবে। তার মধ্যে শিয়ালদহে নিত্যযাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় লোকালের সংখ্যা বেশি এখানে। কথা ছিল, প্রতিটি ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা ৬০০-র মধ্যে বাঁধা হবে। অফিসের ব্যস্ত সময়ে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে দুটি ট্রেনের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো হবে। স্টেশনের ভিড় নিয়ন্ত্রণে থাকবে আরপিএফ, রাজ্য পুলিশ। কিন্তু বুধবার, বঙ্গে লোকাল চালুর প্রথমদিন পরিকল্পনামতো ট্রেন চালিয়েও দেখা গেল, ভিড়ের সেই পরিচিত দৃশ্যই ফিরে এসেছে। ট্রেনের ভিতরে শারীরিক দূরত্ববিধি মানার বালাই নেই। একটি কামরায় যতজন পেরেছেন, উঠে পড়েছেন। এই ছবি দেখে বিকেলেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী রেলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হোক। তাতে এই ভিড় কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
পরিস্থিতি দেখেশুনে রেলকর্তারাও ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর কথাই ভাবছেন। তেমন হলে চলতি সপ্তাহেই তা বাড়ানো হতে পারে। উৎসবের মরশুম কেটে গেলে হয়ত ১০০ শতাংশ ট্রেনই চালানো হতে পারে। যেখানে হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় দৈনিক দেড় হাজার ট্রেন চলে, সেখানে মোট ৬৯৫টি ট্রেন চলানো হলে, ভিড়ে অতিরিক্ত হওয়াই স্বাভাবিক। যাত্রীদের বক্তব্য এমনই। তাঁরা বলছেন, যদি এক ঘণ্টা বা দেড় ঘণ্টা পরপর ট্রেন পাওয়া যায়, তাহলে পরবর্তী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা না করে ভিড়ের মাঝে যেতে কার্যত বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে ফের আলোচনায় বসছে রেল ও রাজ্যের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে সেই বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.