ফাইল ছবি
সুব্রত বিশ্বাস: করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে সেপ্টেম্বরে রাজ্যের লোকাল ট্রেন (Local Trains) চালুতে মৌখিক সম্মতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর তারপরই সেপ্টেম্বরের প্রথমে ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল। শুক্রবার বেলা সাড়ে দশটার সময় ডিভিশনের সব রেল আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন শিয়ালদহের ডিআরএম। এক কর্তা জানাচ্ছেন, দৈনিক ট্রেন চলাচলে অভ্যাস থেকে দীর্ঘদিন দূরে রেলকর্মীদের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন পাওয়ামাত্র স্বরাষ্ট্র ও রেল মন্ত্রক নিয়ম বেঁধে ট্রেন চলাচলে সম্মতি দিয়ে দেবে বলে তাঁদের আশা। কারণ, যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে রেলের বাৎসরিক আয় পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা। এই ছ’মাসে রেলের প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়েছে। ফলে ফের ট্রেন চালানোয় সম্মতি দেওয়া খুব স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি না নেওয়া থাকলে পরে বিপদের আশঙ্কা থাকছে। তাই আগেভাগে প্রস্তুত হয়ে থাকতে চাইছেন রেল কর্তারা।
শিয়ালদহ (Sealdah) ডিভিশনে বিভিন্ন শাখায় ৭৬৮টি লোকাল ট্রেন চলে, হাওড়ায় লোকালের সংখ্যাটা ২১২। প্রাথমিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখতে ২৫ শতাংশ ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। শিয়ালদহ মূল ফটকের পাশে সংকীর্ণ প্রবেশ ও বেরনোর আলাদা গেট হতে পারে। থার্মাল স্ক্যানার, নিয়মিত স্টেশন স্যানিটাইজ ছাড়াও ট্রেন চলাচলের নিয়ম বেঁধে দেওয়া হতে পারে। একেকটা স্টেশনে অলটারনেট করে গ্যালপ ট্রেন চলতে পারে। রাস্তার পাশের স্টেশনগুলোতে অসংখ্য যাত্রী যাতে ঢুকে না পড়তে পারেন, সেজন্য স্টেশনের বিভিন্ন দিকে RPF প্রহরায় থাকবে।
এত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে RPF-এর এক সহকারী কমান্ড্যান্ট জানিয়েছেন, ”এখনও তো রেলকর্মীদের জন্য লোকাল চলছে। মোট ট্রেন সংখ্যার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ শিয়ালদহে ১৯১টি ও হাওড়ায় ৬৫টি।” প্রাথমিকভাবে এই সংখ্যা বাড়িয়ে একেবারে জরুরি কাজে যুক্ত যাত্রীদের যাতায়াত সুগম করার পরিকল্পনা নিচ্ছে রেল। এ জন্য বিভিন্ন স্টেশনগুলির টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। টিকিট চেকিং স্টাফদের ফেরানো হবে নিজেদের কাজে। এই সার্বিক বিষয়ে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে এই বৈঠকে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.