গোবিন্দ রায়: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে ফের হাই কোর্টের (Calcutta High Court) কড়া প্রশ্নের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হলফনামায় বহু প্রশ্নের উত্তর কমিশন এড়িয়ে গিয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও তাদের থাকা-খাওয়ার কী ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা জানাক কমিশন। এমনটাই চায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয়কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি ভোটারের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কমিশন পদক্ষেপ করুক, নির্দেশ হাই কোর্টের। একইসঙ্গে কোনওভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মী, সিভিকদের ব্যবহার করা যাবে না বলেও কমিশনকে ফের সতর্ক করেছে আদালত।
এদিন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) বাহিনী মামলায় হলফনামা দিতে হাই কোর্টের হাজির হয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কিন্তু কমিশনার হলফনামায় খুশি নয় হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কমিশনার যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যেখানে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে সেখানে সংক্ষিপ্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। যা সন্তোষজনক নয়। আদালত জানিয়েছে, উত্তর না দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলেছে। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, বাহিনী মোতায়েন করা ও তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যাপারে পরিকল্পনা কী আছে, কমিশন জানাক কেন্দ্রকে। আদালত সেটাই চায়। এরপরই হাই কোর্টের বার্তা, ভোটারের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পদক্ষেপ করুক কমিশন।
এদিকে বুথে সিসিটিভি বুথে বসানো নিয়ে হলফনামায় যা লেখা হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত। আগামী সোমবার মামলার পরিবর্তী শুনানি। যে সব নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি, সেসব পালন করে কমিশনকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। রাজ্যের কাছে হাই কোর্টের আবেদন, সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে কমিশনের পাশে দাঁড়িয়ে ভোট শান্তিতে মেটাতে করতে সাহায্য করুন।
এদিন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে কেন্দ্রের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী কীভাবে কোথায় দেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে পরিকল্পনার কথা বারবার জানার জন্য চিঠি দেওয়া হলেও কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। কত বুথ, কোথায় কত বাহিনী কিছু জানতে পারছে না কেন্দ্র। কীভাবে বাহিনী যাবে তা নিয়েও কিছু জানানো হচ্ছে না। তাদের কোথায় রাখা হবে,খাওয়া এসব ব্যাপারে নীরব কমিশন ও রাজ্য। শুধুমাত্র কোন জেলায় কত দেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে ২৪ জুন একটা জবাব দিয়েছিল কমিশন। রাজ্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনিও কোনও প্ল্যান জানাচ্ছেন না। এদিন বিচারপতি কমিশনকে পোলিং অফিসারদের নিয়ে প্রশ্ন ছোঁড়েন। তাঁদের প্রশ্ন, কী করে পোলিং অফিসারদের মোবাইল নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, আধার নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে কী করে বাইরে চলে যাচ্ছে? কলকাতা পুলিসের ডিসি কী করে সিভিক দের ভোটের দিন আইন শৃঙ্খলার কাজে লাগানোর জন্য তৈরি থাকতে বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছেন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.