গোবিন্দ রায়: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর হাই কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের। মনোনয়ন পর্বে ভাঙড়, কাশীপুর, হাড়োয়া, বসিরহাটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ পুলিশ। মন্তব্য কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তাঁর প্রশ্ন, জায়গায়-জায়গায় গোলমাল বোমাবাজি গোলাগুলির অভিযোগ। তাহলে পুলিশ কি করছিল? এরপরই পুলিশকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
পুলিশকে জানাতে হবে, হাই কোর্টের ১৫ ও ১৬ জুনের নির্দেশ পালনে পুলিশ কী করেছে? ক্যানিং, মিনাখাঁ , ভাঙড়, ন্যাজাট, জীবনতলা এলাকায় মনোনয়নের জন্য কোথায়, কত সংখ্য়ক পুলিশ দেওয়া হয়েছিল? গোলমালের আগে ও পরে কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে? আদালতের নির্দেশের পরেও কেন প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারল না, তা জানাতে হবে পুলিশকে। সব থানা ও বিডিও অফিসের ১৪ থেকে ১৬ জুনের সিসিটিভি ফুটেজ পেন ড্রাইভে আদালতে দিতে হবে। ১০ দিনের মধ্যে পুলিশকে হলফনামা দিয়ে প্রশ্নমালার জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। পরের তিনদিনের মধ্যে মামলকারীরা তার জবাব দেবে। দু’সপ্তাহ পরে মামলার শুনানি।
এদিন হাই কোর্টের রাজ্যের তরফে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তথ্য দিয়ে তিনি দাবি করেন, ১৩ জুন ৯৩ জন মনোনয়ন জমা দেয় ভাঙড়ে। ১৪ জুন সেখানে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এটা রাজনৈতিক সংঘর্ষ। এখানে কোর্টের ঢোকা উচিত কি না সেটা বিবেচনা করুক। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আদালতের প্রশ্নের জবাবে রাজ্য জানায়,পুলিশ মনোনয়ন জমা দেখবে, অন্য সমস্যা দেখবে না কি নিরাপত্তা দেবে! হাই কোর্ট একের পর এক লোককে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। তারপরে বিডিও অফিসে বিরাট গণ্ডগোল, ভাংচুর হয়েছে। সেই ফুটেজ আদালতে পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.