রমেন দাস: কেরিয়ার গড়তে এখন বাংলার বহু ছেলেমেয়েই অনেকটা ছোট বয়সেই ঘর ছাড়ে। ভিনরাজ্যে থেকে নিজেকে তৈরি করে। যার পরিণতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে তার দেখিয়েছে বাংলার ২ পড়ুয়া রয়েছে, যারা গিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ। তালিকায় রয়েছে যাদবপুরের মৃতও। কারও বাড়ি ফেরা হয়নি। একের পর এক এই ঘটনায় আতঙ্কিত অভিভাবকরা। অনেকেই ভাবছেন, শিক্ষার জন্য সন্তানকে কাছ ছাড়া করা আদৌ উচিত কি?
সবাই চায় সেরা হতে। পাঁচজনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে নিজের স্বপ্নপূরণ করতে। আর সেই কারণেই বর্তমান সময়ে বহু পড়ুয়া মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেই পাড়ি দেয় ভিনরাজ্যে। যেমন ভাইজ্যাগে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিল টালিগঞ্জের বাসিন্দা বছর ষোলোর ছাত্রী। একবছর ভাল কাটলেও পড়াশোনা শেষের আগেই সব শেষ। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল তরতাজা প্রাণ। মৃত্যু ঘিরে হাজারও রহস্য। এদিকে অল ইন্ডিয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্সে (JEE) ভাল নম্বর পেয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) গুন্টুর জেলার বিজয়ওয়াড়ার কেএল ইউনিভার্সিটিতে বি টেক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভরতি হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সৌরদীপ চৌধুরী। ২৪ জুলাই বাড়িতে খবর আসে হস্টেলের ১৩ তলা থেকে নাকি ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুও ঠিকই একইরকম। অনেক স্বপ্ন দুচোখে নিয়ে নদিয়া থেকে কলকাতা এসেছিল সে। কিন্তু এক সপ্তাহও কাটল না, তার আগেই সব শেষ। প্রতিক্ষেত্রেই নিশানায় হস্টেল কর্তৃপক্ষ। উঠছে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ।
একের পর এক এই ঘটনাই ধাক্কা দিয়েছে অভিভাবকদের। সন্তানহারাদের কেউ বলছেন, বাচ্চাকে দূরে পাঠানোই ভুল হয়েছে। কেউ আবার বলছেন, না পাঠিয়েই বা উপায় কী। বর্তমানে চাকরির যা পরিস্থিতি। তাতে নিজেকে প্রস্তুত করতে, ভবিষ্যৎ সু্ন্দর করতে ঘর ছাড়তে যে হবেই। তবে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সকলেরই দাবি, সুনিশ্চিত করা হোক পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। যাতে সন্তানকে পড়তে পাঠিয়ে কোল না খালি হয় আর কোনও অভিভাবকের। সমস্ত রাজ্যের প্রশাসনের সহযোগিতার আরজি জানিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.