ছবি প্রতীকী
অর্ণব আইচ: ভিড় বাসে গেট থেকে ঝুলছেন যাত্রী। বাস থেকে সেই ‘ঝুলন্ত’ যাত্রীদের নামাল পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকেই তুলনামূলক় ফাঁকা বাসে তুলে দেওয়া হল যাত্রীদের।
বাসে চড়ুন। কিন্তু শরীরের কোনও অংশ যেন বাইরে না থাকে। এমনকী, কোনও যাত্রী যেন বাস বা কোনও গাড়ির জানালার বাইরেও হাত না রাখেন। শুক্রবার এই বিষয়ে সকাল থেকেই কড়া হল পুলিশ। একই সঙ্গে চলল সচেতনতার প্রচারও। বৃহস্পতিবার হাওড়াগামী সরকারি বাসের গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন উৎপল কর্মকার। বাঁ হাতটি ছিল বাসের বাইরে দিকে। টালিগঞ্জের করুণাময়ীর কাছে একটি থামে ধাক্কা লেগে হাত কেটে পড়ে যায় রাস্তায়। শেষপর্যন্ত আর হাতটি শরীরে জোড়া লাগানো যায়নি। শহরে এমন দুর্ঘটনা রুখতে উদ্যোগ নিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। শুক্রবার দিনভর অভিযান চলল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়াও প্রচার চালানো হতে পারে শোনা যাচ্ছে।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, বরাবরই বাসের ভিতর সতর্কবার্তা লেখা থাকে যাতে, বাইরে হাত বা শরীরের কোনও অংশ না রাখেন যাত্রীরা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা মানেন না অনেকেই। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দিনভর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বাস-সহ অন্য গাড়িতে নজরদারি চালায় ট্রাফিক পুলিশ। বাসের কোনও যাত্রীর জানালার বাইরে হাত থাকলেই তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এমনকী, বহুক্ষেত্রে ভিড়ে ঠাসা বাসে পাদানি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিতেও দেখা যায়। আবার যাঁরা অপেক্ষাকৃত খালি বাসে দরজায় ঝুলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তাঁদেরকেও বাসের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে পুলিশকর্মীরাই। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে শিশু অথবা বালক-বালিকাদের বোঝানো হয়েছে, কেন জানালার বাইরে হাত রাখা উচিত নয় এবং তাতে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে। একই সঙ্গে গাড়ির চালককে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন লুকিং গ্লাস দিয়ে এই বিষয়টির উপরও খেয়াল রাখেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার হরিদেবপুরের যে রাস্তাটিতে দুর্ঘটনা ঘটে, সেই মহাত্মা গান্ধী রোডটি যথেষ্ট অপরিসর। আর বাড়ির থামে যাত্রীর হাতটি ধাক্কা লেগেছিল, সেই বাড়িটিতে আবার কিছুটা বাঁকা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেই বাড়িটির দেওয়ালে সাইনবোর্ড ও রিফ্লেক্টরও লাগিয়ে দিয়েছে ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ডের কর্মীরা। ওই রাস্তা দিয়ে পরিবহণ দপ্তরকে ছোট বাস চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.