ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে নয়া মোড়। পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক ওরফে আজাদ হোসেনের সঙ্গে তার সহযোগীদের প্রায় ৫০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ পেল ইডি। গত তিন-চার বছরে মধ্যে একাধিক অ্যাকাউন্টে দফায়-দফায় জমা পড়েছে নগদ ৫০ কোটি টাকা। শুধু ভুয়ো পাসপোর্ট নয়, ভুয়ো ভিসাও বানাত ‘পাসপোর্ট আজাদ’, আদালতে জানাল ইডি।
মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল ‘পাসপোর্ট আজাদ’কে। সেখানে তার বিরুদ্ধে একাধিক নতুন তথ্য দিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাদের দাবি, শুধু পাসপোর্টই নয়, জাল ভিসাও তৈরি করেছিল পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের মাথা আজাদ মল্লিক। ইউরোপের দেশগুলির ভিসা তৈরি করে দিত আজাদ। এছাড়াও দুবাই, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়ার জন্যও জাল ভিসা বানাত সে। এভাবেই বহু পাকিস্তানি নাগরিককে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে সে। কোনও জঙ্গিকেও সে নকল পাসপোর্ট-ভিসায় ইউরোপে পাঠিয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইডি আরও জানিয়েছে, আজাদের থেকে মিলেছে দুটি ভোটার কার্ড। একটি নৈহাটি বিধানসভা এলাকার, অপরটি রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভার। কেন দু’টি ভোটার কার্ড রেখেছিল সে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভোটার কার্ড বানাতে কারা সাহায্য করেছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় আজাদ মল্লিককে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রথমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন যে, আজাদ বাংলাদেশি। কিন্তু আজাদ মল্লিকের উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় পাকিস্তানের ড্রাইভিং লাইসেন্স। আজাদ হোসেন নামে ওই পাক ড্রাইভিং লাইসেন্সটি যে আসলে আজাদ মল্লিকেরই, সেই ব্যাপারে ইডির গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন। এরপর তাকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জেরা করেন। গোয়েন্দারা অনেকটাই নিশ্চিত যে, পাক চর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে আজাদের। এখনও পর্যন্ত অন্তত দু’শো জনের ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে তারই ভিত্তিতে জাল পাসপোর্ট বানায় আজাদ। এই সংখ্যাটি ৫০০-এ গিয়ে দাঁড়াতে পারে বলে ধারনা ইডি আধিকারিকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.