নব্যেন্দু হাজরা: রাস্তাশ্রী-পথশ্রী প্রকল্পে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হলে উপকৃত হবে রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজারের বেশি গ্রাম। বেশিরভাগ জায়গাতেই হবে নতুন রাস্তা। কিছু জায়গায় পুরনো রাস্তাও সংস্কারও করা হবে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, প্রায় সাত হাজার নতুন রাস্তা হবে বলে তালিকা তৈরি হয়েছে। আর দেড় হাজারের বেশি পুরনো রাস্তা সারানো হবে। আগামী ২৮ মার্চ সিঙ্গুর থেকে এই প্রকল্পের শিল্যান্যাস করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেখান থেকে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী, এখন সেটাই দেখার।
রাস্তাশ্রী প্রকল্পে রাজ্য সরকার ৩০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। নবান্নসূত্রে খবর, বিটুমিনের রাস্তার পাশাপাশি হবে কংক্রিটের রাস্তাও। এবং বেশ কিছু মাটির রাস্তাও সারানো হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায়। পথনাটিকা থেকে বড় বড় ফ্লেক্স, ট্যাবলোয় নাচ-গান ইত্যাদির মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রচার। জেলা থেকে রাস্তা ধরে ধরে তালিকাও প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পের শিল্যান্যাস করলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে রাস্তা তৈরির গুণগত মানের উপর এবার নজরদারির বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে খারাপ ইমারতি দ্রব্য দিয়ে রাস্তা তৈরি করতে না পারে, তা দেখা হবে। সেক্ষেত্রে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
রাজ্যের গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারে ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের কাজে কয়েক হাজার কর্মসংস্থানও হবে বলে নবান্নসূত্রে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে একশো দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। যে কারণে এরাজ্যের গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন না। একাধিক কাজ আটকে রয়েছে। তবে নতুন রাস্তা তৈরির কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, তাই রাস্তাশ্রী-পথশ্রী প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যার খরচ পুরোটাই বহন করবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের প্রচারের উপর জোর দিতে প্রত্যেক জেলাশাসককে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
বলা হয়েছে, শিলান্যাসের আগে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যে রাস্তা সংস্কার বা নির্মাণকাজ হবে সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হোর্ডিং, ফ্লেক্স ও পোস্টার দিতে। স্থানীয়ভাবে রাস্তার নাম, গ্রামের নাম এবং রাস্তা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পোস্টার ও হোর্ডিংয়ে রাখতে হবে। ব্লক, মহকুমা ও জেলা সদর দপ্তরেও অনুরূপ প্রচার করতে হবে। একই সঙ্গে চলছে সুসজ্জিত ট্যাবলোয় প্রচার। জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরকে নিয়েই এই প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকল্পের শিলন্যাস করলেও ওই সময় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক, মহকুমা ও জেলা সদরে দফতরেও এই শিলান্যাসকে কেন্দ্র করে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জমায়েত করার কথা বলা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে শিলন্যাস অনুষ্ঠানে অন্তত ৫০০ লোকের সমাগম করতে বলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.