সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত অব্যবস্থার জের। বদলি করা হল পাভলভ হাসপাতালের সুপারকে। পালভলের সুপার গণেশ প্রসাদকে পাঠানো হল কোচবিহারের হাসপাতালে (Cooch Behar)। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন মৃগাঙ্ক মৌলি কর। যদিও বদলির কারণ হিসেবে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
বহুবার বহু অভিযোগ উঠেছে মানসিক রোগীদের হাসপাতাল পাভলভের (Calcutta Pavlov Hospital) ব্যবস্থাপনা নিয়ে। সম্প্রতি আবাসিকদের হালহকিকত সরেজমিনে দেখতে গিয়ে চমকে উঠেছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকরা। দেখেছিলেন, অন্ধকার ময়লা স্যাঁতসেঁতে ঘর। মাকড়শার জাল, পোকামাকড়ের আস্তানা। তারমধ্যে অন্তত ১৩ জন মহিলা। ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। ভিতরে চিৎকার আর গোঙানির শব্দ। সেই রিপোর্ট পেশের পরই স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে সুপারকে শোকজ করা হয়েছিল।
যদিও সেই সময় সুপার বলেছিলেন, “শোকজের চিঠি তো পাইনি।” পালটা জবাবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেছেন, “তদন্ত হয়েছে। সব তথ্য আছে। আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তারমাঝেই দিন কয়েক আগে হাসপাতালের গাছের মগডালে চড়ে বসে এক আবাসিক। নতুন করে ফের শুরু হয় তোলপাড়। সেই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে বদলি করা হল সুপারকে।
উল্লেখ্য, শুধু রোগীদের এক ঘরে আটকে রাখাই নয়, পাভলভের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে আগেও। রোগীদের ডায়েট চার্ট বলে কিছু নেই। হাসপাতালের চিকিৎসক, সুপার বা নার্সরা রোগীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন না। বস্তুত, ওয়ার্ড চলছে ইন্টার্নদের মর্জির উপর। হাসপাতালে যাওয়া এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “আবাসিকদের কেন ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছে? এই প্রশ্ন করায় এক নার্স বলেছিলেন, “সুপারের নির্দেশে।” এমনকী আউটডোর ইনডোরে কোনও ডাক্তার, নার্স বা ফেসিলিটি ম্যানেজারও রাউন্ডে যান না বলেই জানা গিয়েছে।
যদিও প্রাক্তন সুপার গণেশ প্রসাদ আগে বারবার দাবি করেছেন, “তাঁদের হাসপাতাল নিয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমন কোনও ঘটনা হাসপাতালে কস্মিনকালেও হয়নি। এসব অন্য কোনও হাসপাতালে হয়েছে-বিশ্বাসই করি না।” শুনে মুচকি হেসেছেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.