ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: CAA কার্যকর হওয়ার পর ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সীমান্তে যত সংখ্যক অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে, তাদের মধ্যে সিংহভাগই বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। শুক্রবার এই তথ্য জানান আইজি (বিএসএফ) দক্ষিণবঙ্গ ওয়াই বি খুরানিয়া।
বিএসএফের কর্তারা জানিয়েছেন, এই বছরই সীমান্ত থেকে ধরা পড়েছে ২৬৮ জন বাংলাদেশি। বিএসএফের গোয়েন্দাদের জেরায় বেরিয়ে পড়েছে নতুন তথ্য। জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ বাংলাদেশিই বাংলাদেশ থেকে আসছে না। এই রাজ্য থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশে। বিএসএফের দাবি, CAA’র পরই এই প্রবণতা দেখা দিয়েছে। প্রমাণ মিলছে যে, বাংলাদেশিরা বেআইনিভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল। CAA’র পর ভয়েই ফিরে যাচ্ছে নিজেদের দেশে। দেখা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্ত থেকেই বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে ধরা পড়ছে।
বিএসএফের কর্তা জানান, সীমান্তে গরু পাচার প্রায় ৯০ শতাংশ কমেছে। যদিও বেড়েছে মাদক পাচার। গত বছরই এই বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। বিশেষ করে ইয়াবা ট্যাবলেট। এই মাদক মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে এই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে। গত বছর বিএসএফ ৪২ হাজার ২৩টি ইয়াবা ট্যাবলেট ধরেছিল। এই বছরই শুধু ধরা পড়েছে ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। যদিও অন্যান্য জিনিসের মধ্যে সোনা ও রুপো পাচার, গাঁজা পাচার কমেছে। ২০১৮ সালের থেকে গত বছর অনেক বেশি পরিমাণ নেশার ওষুধ ধরা পড়েছে।
বিএসএফ জানিয়েছে, সীমান্তে শান্তির জন্য বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবি সম্পর্ক রেখেই কাজ করে চলেছে। গত ডিসেম্বরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিজি বৈঠক করেছেন। ফের দুই দেশের বাহিনী বৈঠকে বসতে চলেছে। বাংলাদেশের রাজশাহি, চাপাইনবাবগঞ্জের মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় জেএমবি জঙ্গিদের শিবির চলছে বলে বিএসএফের গোয়েন্দাকর্তাদের কাছে খবর এসেছে। এই জঙ্গি শিবিরগুলির বিষয়ে খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.