অর্ণব আইচ : খোদ কলকাতায় মদ্যপের হাতে খুন হলেন এক যুবক। মৃতের নাম সোমনাথ সর্দার। ঘটনাটি ঘটেছে চারু মার্কেট থানার অন্তর্গত ডাঃ দেওধর রহমান রোডে ফুড কর্পোরেশনের পরিত্যক্ত একটি গোডাউনে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বুম্বা দে’কে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে চারু মার্কেট থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের আস্তানা ছেড়ে দেওধর রহমান রোডের ওই পরিত্যক্ত এফসিআই গোডাউনে থাকতে শুরু করেছিলেন সোমনাথ। অন্যদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও সেখানে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। বুধবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাৎ মদ্যপ অবস্থায় সেখানে উপস্থিত হয় অভিযুক্ত বুম্বা দে। তারপরই বিপত্তি৷
প্রত্যক্ষদর্শী দুই নাবালকের কথায়, গোডাউনে ঢুকেই সোমনাথের উপর চড়াও হয়ে লাথি ও ঘুষি মারতে থাকে বুম্বা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বেধড়ক মারধর করার ফলে অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সোমনাথ। পরে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে চিকিৎসকের প্রাথমিক অনুমান, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক আঘাত লাগার ফলে মৃত্যু হয়েছে সোমনাথবাবুর।
[অনশনের একুশতম দিনে গণ কনভেনশনে এসএসসি প্রার্থীরা, অসুস্থ ২]
সোমনাথকে মারধরের পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত বুম্বা। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করার পর তদন্তে নেমে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাতে থাকে চারু মার্কেট থানার পুলিশ। এরপর বুধবার রাতে স্থানীয় টি সি রোড থেকে গ্রেপ্তার হয় বুম্বা। থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে জেরা করা হলে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। বৃহস্পতিবার বুম্বাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে সোমনাথের উপর এমন অত্যাচার করা হল? শুধুই কি মদ্যপ থাকায় এমন কাণ্ড নাকি পুরনো কোনও শত্রুতা ছিল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নযন তদন্তকারীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.