অর্ণব আইচ: এসকর্ট সার্ভিসের মহিলাদের দিয়ে নাইট ক্লাবে মাদক পাচার। দিল্লি থেকে কলকাতায় মাদক নিয়ে আসা হত সুন্দরী মহিলাদের মাধ্যমেই। কেউ তাদের সন্দেহ করত না। আর সেই সুযোগেই কলকাতায় অবাধে বিদেশি মাদক ‘মলি’ পাচার করত চক্রের মাথা আদিত্য শিখওয়াল। তাকে জেরা করে এই বিষয়ে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে।
শনিবার রাতে শেক্সপিয়র সরণি এলাকার রাসেল স্ট্রিট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আদিত্যকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় সাতটি প্যাকেট ভরতি বিদেশি মাদক এমডিএমএ ট্যাবলেট, যা মাদকাসক্তদের কাছে এক্সট্যাসি অথবা মলি নামে পরিচিত। তাকে জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে পুলিশের কাছে। লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, পোস্তায় আদিত্যর বাবার হার্ডওয়্যারের ব্যবসা ছিল। সেই দোকান বিক্রি করে টাকা দিয়ে সুন্দরী যুবতীদের নিয়ে ‘এসকর্ট সার্ভিস’-এর কারবার শুরু করে সে। বিভিন্ন হোটেলে এসকর্ট যুবতীদের পাঠাত। সেই সূত্র ধরেই ক্রমে তার জমে ওঠে মাদকের ব্যবসা।
মূলত নাইট ক্লাব অথবা রেভ পার্টিতে বিদেশি মাদক বা ‘পার্টি ড্রাগ’ বিক্রি করত সে। অনলাইনেই যোগাযোগ করত ক্রেতাদের সঙ্গে। এ ছাড়াও নাইট ক্লাবে যে খদ্দেরদের প্রায়ই যাতায়াত আছে, তাদের সঙ্গেও রাখত যোগাযোগ। সে-ই দিল্লিতে পাঠাত এসকর্ট সুন্দরীদের। তারাই দিল্লির এজেন্টের কাছ থেকে নিয়ে আসত মাদক। এদিকে, নাইট ক্লাবেও সে ওই সুন্দরীদের পাঠাত মাদক পাচার করার জন্য। এই চক্রের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.