স্টাফ রিপোর্টার: কসবা কাণ্ডে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বহিরাগত শিক্ষকদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের তলব করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কেন সেদিন বহিরাগতরা ডিআই অফিসে বিক্ষোভে এসেছিলেন? কে বা কারা তাঁদের কসবা ডিআই অফিসে আসতে বলেছিলেন তা জানতে তাঁদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।
বুধবার কসবা ডিআই অফিসে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ডিআই অফিস জ্বালিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে এই ঘটনায় বহিরাগতদের যোগ পায় পুলিশ। লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ ভার্মাও জানান, “প্রতিবাদীদের মধ্যে বহিরাগতরাও মিশে ছিল। তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে।” সেদিন কসবা ডিআই অফিসে চাকরিহারাদের বিক্ষোভে মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলার চাকরিহারা শিক্ষকরাও এসেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, পরিকল্পনা করে বহিরাগতদের নিয়ে আসা হয়েছিল কসবায়। পিছনে কোনও রাজনৈতিক চক্রান্ত থাকতে পারে। চাকরিহারা যেসব জেলার স্কুলে চাকরি করতেন সেখানের ডিআই অফিসগুলিতে বিক্ষোভ না দেখিয়ে কসবার ডিআই অফিস কেন বেছে নেওয়া হল। কসবার ডিআই অফিসে বিক্ষোভে জেলার চাকরিহারারা কেন হাজির ছিলেন? এরকম বহু প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেদিন যাঁরা ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিলেন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। পুলিশের উপর হামলা কারা চালাল তা জানতে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশদের বডি ক্যামেরাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এপর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, সেদিন কসবা ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে আসা অধিকাংশ শিক্ষকের সঙ্গেই ওই অফিস আধিকারিকদের চাকরি সংক্রান্ত কোনও কাজ থাকার কথা নয়। কারণ, তাঁরা সবাই অন্য ডিআই এলাকার আওতাধীন স্কুলে পড়ান। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পরিকল্পনামাফিক ভাঙচুর ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করাই বিক্ষোভকারীদের মূল লক্ষ্য ছিল? বিক্ষোভ ঘিরে গোলমাল হলে প্রচারের আলোয় নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করার পরিকল্পনাও বিক্ষোভকারীদের ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.