কৃষ্ণ কুমার দাস: দেবাংশু ভট্টাচার্যের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। দলের প্রবীণদের একাংশকে টার্গেট করে তাঁর এই পোস্ট বলে অভিযোগ উঠেছে। ছড়া ঘিরে জল্পনা চরম আকার নিতেই এই বিষয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
শনিবার বেলায় তৃণমূলের আইটি সেলের ইন-চার্জ দেবাংশু ফেসবুকে একটি চার লাইনের ছড়া পোস্ট করেন। লেখেন – ‘হাসছে ওরা, ঠাট্টা করে বলছে দেখো/ বড়র সাথে ছোট্টরা সব করবে লড়াই। পিঁপড়ে ভেবে ভাবছ যাদের ভীষণ ছোট/ অত বড় আরশোলাকে বইছে ওরাই।’ এমন লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই দলে নবীনদের একাংশকে কি উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জোর চর্চা শুরু হয়। একইসঙ্গে প্রবীণদের একাংশের উদ্দেশেই যে দেবাংশুর এমন নিশানা বলেও অভিযোগ ওঠে।
স্বভাবতই বিতর্ক বাড়তে দুপুরের দিকে নিজের পোস্ট এডিট করে ছড়ার নিচে একটি লাইন লিখে দেন দেবাংশু। জানিয়ে দেন, ছড়াটি লোকসভা ভোটের আগে লেখা। কিন্তু এর পরই ফের প্রশ্ন ওঠে, যদি ভোটের আগেই লেখা হয়, তখন প্রকাশ না করে হঠাৎ এখন কেন সেটি পোস্ট করলেন? বিশেষ করে যখন দলবিরোধী ও দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক নতুন প্রজন্মের নেতার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করছে তৃণমূল, তখনই কেন এমন পোস্ট?
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পিঁপড়ে ও আরশোলার ‘ক্ষমতা-ভয়ের’ বিষয় নিয়ে রসিকতা করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, “জানেন তো আরশোলা আবার হাওয়াই চটিকে ভয় পায়। ওটাও ছন্দ করে লিখে দিল পারত। পিঁপড়ে আরশোলাকে টানে। আবার আরশোলা হাওয়াই চটিকে ভয় পায়। আমার মনে হয় ও ভালো লেখে, ভালো ছন্দ করে ছড়া লিখতে পারে। তবে এটাও ঠিক নিশ্চিতভাবে ছোট হলেও পিঁপড়ে খুবই শক্তিশালী। লাল পিঁপড়ে কামড়ালে যথেষ্ট লাগে। ডেঁয়ো পিঁপড়ে কামড়ালে ব্যথা হয়। আবার পিঁপড়েরাও আরশোলা বয়ে নিয়ে যায় ঠিকই। তবে এটাও ঠিক যে, আরশোলার ওষুধ বেগন স্প্রের থেকে হাওয়াই চটি বেশি কার্যকর।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.