রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে বামেদের দলে আনার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। টার্গেট করেছিলেন, বামেদের ভোট ম্যানেজারদের বিজেপিতে টানার। এবার তাঁর মন্ত্র মেনে সেই কাজ শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। বামেদের ঘরে ভাঙন ধরাল বিজেপি (BJP)। কলকাতা পুরসভার ১০২ নম্বর সিপিএম (CPM) কাউন্সিলর, বর্তমানে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর রিংকু নস্কর মঙ্গলবার যোগ দিলেন বিজেপিতে। হেস্টিংস অফিসে রিঙ্কু নস্করের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
একদিকে যখন একুশে যৌথভাবে লড়াইয়ে আসন রফার ফর্মুলা খুঁজতে বৈঠকে বসেছে বাম-কংগ্রেস জোট, যেখানে তাঁদের টার্গেট একসঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূল, ঠিক সেই সময়েই বাম শিবির ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ২ বারের কাউন্সিলর রিংকু নস্কর। এই দাপুটে কাউন্সিলরের দলত্যাগে প্রবল অস্বস্তিতে সিপিএম নেতৃত্ব। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রিংকু বলেন, ”মানুষ এখন বিজেপিকে চাইছে। আমি আদর্শগতভাবে বিজেপিকে সমর্থন করছি। তৃণমূলকে হঠাতে বিকল্প বিজেপিই।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর প্রশংসা করেন একদা বামপন্থী আদর্শে উদ্বুদ্ধ নেত্রী। মঙ্গলবার রিংকু নস্করকে দলে স্বাগত জানিয়ে দিলীপবাবুর দাবি, বাম ও তৃণমূল থেকে মোট ৩০০জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দলবদলের রাজনীতি চলছে। শাসকদলের পাশাপাশি সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে অনেকে গেরুয়া শিবিরের ছত্রছায়ায় ভিড়েছেন। তাঁদের নিজেদের শিবিরে এনে অনেক সময়েই চমক দিয়েছে বিজেপি। জেলায় জেলায় যোগদান কর্মসূচিও করছেন দিলীপ ঘোষরা। সামনেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, দল বদলের আরও চমক তারা দেখবেন। বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন, এরকম একাধিক রাজনৈতিক নেতার নাম নিয়ে জল্পনাও চলছে।
এদিকে, রিংকু নস্করকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সিপিএমও। বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দলবদলের পরই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিছুদিন ধরেই সিপিএম কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ আসছিল, তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। সম্প্রতি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছিলেন না রিংকু নস্কর। এভাবে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিলই। শেষপর্যন্ত বিজেপিতে যোগদান করার পর তাঁকে বহিষ্কারের পথেই হাঁটল দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.