সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দিনের কলকাতা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার রাত রাজভবনেই কাটানোর কথা ছিল তাঁর। তবে পরে বদল হয় ভাবনায়। প্রধানমন্ত্রী স্থির করেন বেলুড় মঠেই রাত্রিবাস করবেন তিনি। সেখানেই সারবেন নৈশভোজ। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তত বেলুড় মঠ। তাঁর জন্য নানা বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জানেন, নৈশভোজে কী খাবেন মোদি?
বেলুড় মঠের রান্নাঘরে এখন যেন ঠিক যুদ্ধের আবহ। এই প্রধানমন্ত্রী বেলুড়ে মঠে চলে এলেন বলে। তাই তাড়াহুড়ো করে চলছে রান্নাবান্না। শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী বেলুড় মঠে খাবেন খিচুড়ি। গোবিন্দভোগ চাল এবং মুগডাল দিয়ে তৈরি হয়ে ওই খিচুড়ি। যার মধ্যে অল্প আলুও দেওয়া হবে।
খিচুড়ি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর জন্য তৈরি করা হয়েছে পায়েস। যা নৈশভোজে দেওয়া হবে তাঁকে।
সঙ্গে শেষপাতে থাকবে মিষ্টি।
এছাড়াও নৈশভোজে নানা ধরনের মরশুমি ফল দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
শুক্রবার নির্ধারিত সূচি মেনে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন মোদি। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা।
তারপর সেখান থেকে চপারে রেসকোর্সে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে সড়কপথে রাজভবনে যান মোদি। রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৫ মিনিটের ওই বৈঠকে CAA প্রত্যাহারের দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বকেয়া ফেরতেরও দাবি করেন তিনি।
এরপর বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেন মোদি।
বৈঠক সেরে তিনি ওল্ড কারেন্সি মিউজিয়ামে যান। এখানে বক্তব্য রাখার সময় বেলুড় মঠ সম্পর্কে ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করেন। তিনি বলেন, ‘বেলুড় মঠই আমাকে এই শহরে টেনে এনেছে, এখনও টানে।’ এরপর মিলেনিয়াম পার্কে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবেন মোদি। সেখান থেকে জলপথে বেলুড় মঠে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মঠে রাত্রিবাস করবেন মোদি। নৈশভোজও সেখানেই সারবেন তিনি। সেই মেনুতে থাকছে খিচুড়ি, পায়েস, মিষ্টি, ফল খাবেন মোদি। এরপর মঠের অতিথি নিবাসেই থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী। ওইদিন মঠে ধ্যানে বসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.