সুব্রত বিশ্বাস: রেল চলাচল নিয়মিত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। তারমধ্যে রেলকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সব প্রক্রিয়া চালু রেখেছে কেন্দ্র সরকার। এই অভিযোগে প্রতিবাদ শুরু করেছেন রেলকর্মীরা।
ইতিমধ্যেই বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে পূর্ব রেলের কর্মী সংগঠনগুলি এনিয়ে মহাজোট তৈরি করে আন্দোলন শুরু করেছেন। শুক্রবার মেনস ইউনিয়ন, এসসি, এসটি সংগঠন ছাড়া একাধিক এসোসিয়েশনের জোট কর্মীরা হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে আলাদা বাইক রেলি বের করে রেলের সদর দপ্তর ফেয়ারলি প্লেসে এসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। জিএম-এর কাছে দাবিপত্র পেশ করেন। এদিন প্রায় পাঁচ হাজার রেলকর্মী জমায়েত করেন।
এদিকে বোনাস না দেওয়ায় হরতালের হুমকি দিয়েছে ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রেল মেনস। সাধারণ সম্পাদক এম রাঘভাইয়া জানান, কঠিন পরিস্থিতিতে রেলকে চালাচ্ছেন কর্মীরাই। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনশো কর্মী। ১৯-২০ অর্থ বর্ষে ২০০০ কোটি বোনাসের টাকা সরকারের কাছে বকেয়া রয়েছে। সাড়ে তেরো লক্ষ রেলকর্মীকে বঞ্চিত করা চলবে না। কর্মী সংগঠনগুলো হরতালে যাবে। এদিকে পুজোর আগে হাওড়া শিয়ালদহে লোকাল ট্রেনের দাবি জোরাল হলেও, রাজ্য নির্বিকার। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদকুমার যাদব বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রের সমন্বয় ছাড়া লোকাল ট্রেন চলা সম্ভব নয়। যৌথ রূপরেখা তৈরি করে তবেই লোকাল ট্রেন চলবে।
উল্লেখ্য, রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, বেসরকারি লগ্নি বাবদ ৩০ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য। তাই বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে যোগ্যতাপত্রের ভিত্তিতে টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, ১০৯ টি রুটের জন্য দেড়শোর বেশি অত্যাধুনিক রেক আনা হবে। প্রতিটি রেকে ১৬টি করে কামরা থাকবে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেনগুলি চালানো যাবে। ট্রেনের চালক ও গার্ডদের দিয়েই ট্রেন চালাতে পারবে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা। রেল সূত্রে খবর, বেসরকারি লগ্নি টানার পাশাপাশি যাত্রী পরিষেবা আরও মসৃণ করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.