সুব্রত বিশ্বাস: ‘অপারেশন সাশক্ত দিবং’। এই নামেই এবার যাত্রীদের ধরপাকড় শুরু করল রেল। প্রতিবন্ধী কামরাতে চড়লেই তাঁকে রেল অ্যাক্টের ১৫৫ ধারায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে প্রতিবন্ধী কামরাতে চড়ার অপরাধে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৬৭ জনকে। হাওড়া স্টেশনে বিকেল পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পূর্ব রেলে বিকেল পর্যন্ত এই ধরনের গ্রেপ্তার সংখ্যা ৭৪০। দক্ষিণ-পূর্ব রেলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩৩২।
দেশজুড়ে এই অপরাধে ধরা পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। গত ২৮ তারিখে এই অভিযান শুরুর প্রথম দিনই পূর্ব রেলে ধরা পড়েছিল ৬৯৬ জন। ধৃতদের আদালতে হাজির করা হয়। সাজা জরিমানা বাবদ এক হাজার টাকা অথবা ৬ মাসের জেল। একসঙ্গে দু’টোও হতে পারে। এত সংখ্যক যাত্রী ধরপাকড়ের পর ক্ষুব্ধ যাত্রীদের অভিযোগ, আর্থিক মন্দা কাটাতে এখন রেল জরিমানা-নির্ভর হয়ে পড়েছে। যে কোনও পন্থায় আয় করতে হবে, তাতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য চুলোয় যাক। যাত্রীদের অভিযোগ, মহিলা, প্রতিবন্ধী কামরায় চড়াটা আইনবিরুদ্ধ, এটা রেলকে অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে প্রচার করে যাত্রীদের সচেতন করতে হবে। প্রতিবন্ধী কামরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আরপিএফ সাধারণ যাত্রীদের চড়তে বাধা দেবে। এই সচেতনতা না গড়ে, পুরোপুরি আয়ের রাস্তা করা হয়েছে এই উপায়কে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। একদম পিছনে থাকে এই কামরা। ট্রেন ছেড়ে দেওয়ায় নিরুপায় হয়ে অনেকেই তাতে চড়ে যান। এই ধরনের কামরায় চড়া ব্যক্তিদের সতর্ক করতে হবে। না শুনলে পরের স্টেশনে গ্রেপ্তার করতে হয়। অথচ আরপিএফ দূর থেকে নজর রাখছে।
অভিযোগ, ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে আরপিএফ প্রতিবন্ধী না এমন যাত্রীদের নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গ্রেপ্তার করছে। এই নিয়ে যাত্রী ক্ষোভ চরমে। অভিযোগ, সতর্ক না করায় যাত্রীরা জানেন না এই বগিতে চড়াটা কতটা অপরাধ। ফলে গ্রেপ্তার হয়ে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ যাত্রা বাতিলের পাশাপাশি চরম হয়রান হচ্ছেন। এই পরিষেবা যদি রেলের হয়, তবে সাধারণ যাত্রীরা কী করবেন বলে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। পূর্ব রেল জানিয়েছে, প্রতিবন্ধী কামারার গায়েই লেখা রয়েছে, সাধারণ যাত্রীদের চড়া নিষিদ্ধ। এর পরেও কেউ তাতে চড়লে আইনগত পদক্ষেপ তো নেওয়া হবেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.