সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া স্টেশন অরক্ষিত। বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর তার প্রমাণ মিলল। রেল কর্তৃপক্ষ এই আগুনের ঘটনা চাপতে একাধিক পদক্ষেপ করায় বিস্মিত তথ্যাভিজ্ঞ মহল।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ দিয়ে তদন্তের যে জয়েন্ট নোট তৈরি করা হয়েছে, তাতে ক্ষতির পরিমাণই জানানো হয়নি। রাত দশটা নাগাদ কনকর্সের ৪/৪ পিলারে আগুন লাগে। বিস্ফোরণের ব্যাপ্তি ছিল বেশ ভালরকম। কেবল বিস্ফোরণের শব্দ ও আলোর ঝলকে কেঁপে ওঠে প্ল্যাটফর্ম। দমকলের প্রাথমিক সন্দেহ, মোবাইলের চার্জিং পয়েন্টের ভিতরে জল ঢুকে যাওয়ায় শর্ট সার্কিট হয়ে এই ঘটনা। বহু কেবল আগুনে নষ্ট হয়ে প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়েছে৷ ইলেকট্রিক, স্টেশন কর্তৃপক্ষ, কমার্শিয়াল, আরপিএফ আগুন লাগার যে জয়েন্ট নোট বানিয়েছে, তাতে আগুনের ব্যাপ্তি ও ক্ষতির পরিমাণ জানানো হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ জানানো দরকার এই ধরনের নোটে। ক্ষতি না দেখানোর কারণ, রেল বোর্ডকে তা জানানোর প্রয়োজন নেই।
আগুনে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারত যদি আরপিএফ পদক্ষেপ না করত। ১৬টি এস্টিংগুইসার মেশিন নিয়ে ৩০ জন আরপিএফ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহযোগিতা করেন। আগুনের ক্ষতির পরিমাণ রেলের তদন্ত কমিটির জয়েন্ট নোটে যেমন উল্লেখ নেই, তেমনই আগুন লাগা পিলারকে রং করে দেওয়া হয়েছে রাতারাতি। যেন কেউ বিষয়টি জানতে না পারে। যদিও যাত্রীদের তোলা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন ভাইরাল। যাতে স্পষ্ট ভয়াবহতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.