সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কলকাতার আট ওয়ার্ডে লাগাতার বেআইনি নির্মাণ চলছে।’ এর মধ্যে রয়েছে গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডও। যেখানে রবিবার মাঝরাতে বহুতল ভেঙে পড়ে প্রাণ গিয়েছে ৮ জনের। এই দাবি করে ২ বছর আগেই ইডিকে চিঠি দিয়েছিলেন বন্দর এলাকার দাপুটে নেতা তথা ফিরহাদ হাকিমের ‘যুযুধান’ রাকেশ সিং।
চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী, বিধানসভার স্পিকার, কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন, রাজ্যের পুর কমিশনার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং ডিজি (দমকল)-কে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। এদিনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর সেই চিঠি দেখিয়ে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। যদিও সেই দাবিকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন।
২০২২ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারিতে লেখা চিঠিতে রাকেশ জানিয়েছিলেন, কলকাতা পুরসভার ৮ ওয়ার্ডে বেআইনি বহুতল নির্মাণ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭৫, ৭৬, ৭৭, ৭৮, ৮০, ১৩৩, ১৩৪ এবং ১৩৫। রবিবার এই ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ে প্রাণ যায় অন্তত ৮ জনের। জানা যায়, বহুতল বিনা অনুমতিতে নির্মাণ করা হচ্ছিল। রাকেশের দাবি, তথ্যের অধিকার আইনে তিনি জানতে পেরেছিলেন, ৮ ওয়ার্ডে মোট ১২০০টি বেআইনি বহুতল রয়েছে বা নির্মাণ কাজ চলছে। চিঠিতে আরও দাবি করা হয়েছিল, বন্দর এলাকায় প্রোমোটারদের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর ও থানার সিন্ডিকেট চলছে। পুরসভা ও প্রশাসন সব জানে। একবার নয়, পর পর দুবার চিঠি লিখেছিলেন রাকেশ সিং।
তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলছেন,”একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থতা নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। হাসপাতালে গিয়ে জখমদের সঙ্গে দেখাও করেছেন। তৃণমূল কোনও অনৈতিক কাজকে সমর্থন করে না।” রাকেশকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, “যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে সেটা আগে ভাবুক।”
উল্লেখ্য, মাদক কাণ্ডে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বন্দর এলাকার ‘বাহুবলী’ রাকেশ সিং। রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরুর দিকে কংগ্রেস নেতা ছিলেন তিনি। পরে বিজেপিতে যোগ দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.