নিজস্ব চিত্র
অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির হাতে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয় ইডির আরও দাবি, শংকর আঢ্যর সংস্থার মাধ্যমে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দুবাই এবং বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় অপরাধ নয় বলেই পালটা সওয়াল বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আইনজীবীর।
১৬ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার হন শংকর আঢ্য। শনিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। আদালতে ইডির দাবি, রেশনে মোট ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ধৃত শংকর আঢ্যর নিজস্ব ৯০টি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় অফিস নিয়ন্ত্রণ করেন বলেও দাবি ইডির। এই অফিসগুলির মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিময় হয়েছে।
তার মধ্যে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ এবং দুবাইতে পাচার করা হয়েছে। ওই বিপুল টাকাও রেশন দুর্নীতির বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও শংকর আঢ্যর আইনজীবী বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়কে অপরাধ হিসাবে উল্লেখের তীব্র বিরোধিতা করেন। তাঁর দাবি, বিদেশি মুদ্রা বিনিময় অপরাধ নয়। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ক্ষেত্রে বেনিয়ম হলে তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মারফত আসবে। ইডি কেন গ্রেপ্তার করল তাঁর মক্কেলকে (শংকর আঢ্য) পালটা সওয়াল আইনজীবীর।
শনিবার আদালতে রেশন দুর্নীতিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র লেখা চিঠির কথাও উল্লেখ করে ইডি। তদন্তকারীরা জানান, হাসপাতালে বসে মেয়েকে একটি চিঠি পাঠান জ্যোতিপ্রিয়। সেটি সিআরপিএফ হাতে পড়ে। পরিস্থিতি এমন হয় যে সিআরপিএফ চিঠিটি খুলে দেখতে বাধ্য হন। সেই চিঠিতে নাম ছিল শংকর আঢ্য, শেখ শাহজাহান, রবীন্দ্র এবং ডাকুর নামে চারজনের। ওই চিঠিই তদন্তে নয়া মোড় দেয়। এর পর তল্লাশির পর শংকর আঢ্যকে গ্রেপ্তার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর বিস্ফোরক দাবির পরেও জামিনের আবেদন জানান শংকর আঢ্যর আইনজীবী জাকির হোসেন। তবে সে আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.