সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি স্কুলে ভরতির ক্ষেত্রে লটারি পদ্ধতি তুলে দেওয়ার ভাবনা-চিন্তা করছে রাজ্য সরকার৷ সোমবার বিধানসভায় একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, লটারি পদ্ধতি তুলে দেওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে৷ লটারি পদ্ধতি চালু থাকলে স্কুলগুলিতে পড়াশোনার মান নামছে বলে দাবি শিক্ষামন্ত্রীর৷
প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক শ্রেণিতে ভরতির জন্য এখন রাজ্যের বেশ কয়েকটি নামী স্কুলে আর প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয় না৷ আগের ক্লাসের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরেও কিছুই আসে যায় না৷ পরিবর্তে লটারির মাধ্যমেই এখন স্কুলে ভরতি হতে পারে পড়ুয়ারা৷ তার ফলে অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে মেধা থাকলেও ভাল স্কুলে ভরতি হতে পারছে না কৃতী পড়ুয়ারা৷ কোনওক্রমে তার চেয়ে নিম্নমানের কোনও স্কুলে পড়তে হচ্ছে তাদের৷ আবার অনেক ক্ষেত্রেই মেধা না থাকা সত্ত্বেও ভাল স্কুলে পড়ছে পড়ুয়ারা৷ এর ফলে স্কুলগুলির মানের অবনতি ঘটছে৷ আবার পড়ুয়াদের সঠিকভাবে মেধার বিচার করা হচ্ছে না৷ এ নিয়ে ছোট ছোট পড়ুয়াদের অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে অসন্তোষের সীমা নেই৷
সোমবার বিধানসভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের নামী স্কুলগুলিতে লটারি পদ্ধতিতে ভরতি তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে৷ মেধার ভিত্তিতে ভরতি নেওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি৷
পাশ-ফেল নিয়ে সরকারের ভাবনা ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে প্রকাশ করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চূড়ান্ত বিবেচনার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকেই। সোমবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘পাশ-ফেল নিয়ে শিক্ষাবিদদের মতামত নিয়েছে সরকার। একাধিক প্রস্তাব আমাদের কাছে জমা পড়েছে। এর জন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। সাতদিনের মধ্যে ওই কমিটি সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট পেশ করবে। পাশ-ফেল প্রথা ফিরুক। তবে কোন ক্লাস থেকে ফিরবে? কী রূপরেখা হবে? সেটা আশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তখন সকলকে বিষয়টি জানানো হবে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.