Advertisement
Advertisement
RG Kar Case

আর জি কর দুর্নীতিতে নথি জমা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ আদালত, ‘জেরক্সে সময় লাগছে’, সাফাই সিবিআইয়ের

বৃহস্পতিবারও এই মামলায় সিবিআইকে 'ভর্ৎসনা' করে আদালত।

RG Kar Case: Alipore CBI special court slams CBI

ফাইল ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 31, 2025 5:35 pm
  • Updated:January 31, 2025 6:12 pm  

অর্ণব আইচ: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ফের সিবিআইকে ভর্ৎসনা আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের। কলকাতা হাই কোর্ট আর জি কর দুর্নীতি মামলায় ৭ দিনের মধ‍্যে চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালতে ১০০ শতাংশ নথি আনতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সে কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে ‘গাফিলতি’র অভিযোগ তোলা হয়েছে। কেন সম্পূর্ণ নথি ছাড়াই সিবিআই আদালতে এল, সে প্রশ্ন করেন বিচারক।

সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “আজ ৭০ শতাংশ নথি নিয়ে আদালতে এসেছি।” তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারক। বিচারক পালটা বলেন, “আপনাদের জন্য প্রতিদিন অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরা দিতে হবে? তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে? আপনারা তো নেবেন না। পুলিশকে দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। কেন প্রস্তুত হয়ে আসছেন না?” সিবিআই আদালতে জানায়, “হাজার হাজার পাতার নথি জেরক্স করতে সময় লাগছে।” বিচারক তাতে আরও ক্ষুব্ধ হন। বলেন, “কেন জেরক্স করছেন? নথি স্ক‍্যান করে পেন ড্রাইভে দিতে পারেন।” জবাবে সিবিআই বলে, “আমাদের একদিন সময় দেওয়া হোক।” শনিবার সমস্ত নথি আদালতে জমার নির্দেশ দেন বিচারক। নথিপত্র জমার পর আগামী মঙ্গলবার এই মামলায় চার্জ গঠনের সম্ভাবনা।

Advertisement

উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তদন্তকারী আধিকারিককে শোকজ করে আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। অভিযোগ, রাজ্যের তরফে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়। তা আলিপুর আদালতকে না জানিয়ে হাই কোর্টে যায় সিবিআই। এই মামলার শুনানিতে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, “এই মামলায় প্রথম থেকেই সিবিআই অসহযোগিতা করছে। গত ২৭ জানুয়ারি রাজ্যের তরফে চার্জ গঠনের অনুমতি মেলে। তারপর তিনদিন কেটে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও আদালতে কিছুই জানানো হয়নি।” একথা শুনে বিরক্ত হন বিচারক। সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক মণীশ উপাধ্যায়কে এই প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, “হাই কোর্ট জানতে পারল কিন্তু ট্রায়াল কোর্ট জানাল না? ট্রায়াল কোর্টকে বাইপাস করে হাই কোর্টে যাচ্ছেন?” আগামী সাতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে সিবিআইকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement