সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে। তবে তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কিংবা দলকে যুক্ত করে কাঠগড়ায় তোলা অনুচিত। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করে ভুল শোধরানোর বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একে একে বেশ কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত করেছেন তিনি। আর বুঝিয়েছেন, তা এখনও শুধরে নেওয়া সম্ভব। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য আর জি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষের পুনর্বহাল। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ”আদালতের অপেক্ষায় না থেকে সন্দীপ ঘোষকে নতুন পদ থেকে এখনই অব্যাহতি দিক প্রশাসন। ছাত্রছাত্রীদের আবেগের কথা মাথায় রেখে এটা করা হলে মানুষকে সদর্থক বার্তা দেওয়া যাবে।”
কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) কথায়, ”সন্দীপ ঘোষ বিতর্কিত। তিনি দোষী না নির্দোষ, আমরা জানি না। দোষ করেছেন কি না, তার প্রমাণ দেবেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে তড়িঘড়ি স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ভুল বুঝেছেন মানুষ। এর সঙ্গে তৃণমূলকে (TMC) জড়িয়ে ফেলা ঠিক হয়নি। তাড়াহুড়ো না করলেই ভালো হতো। মনে করছেন, জনতার আবেগের বিরুদ্ধে গিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আর রাম-বাম শিবির আরও কুৎসা করার সুযোগ করে দিয়েছে।” এই ভুল সংশোধনের উপায় হিসেবে তাঁর পরামর্শ, ”আদালতের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) আপাতত তিন সপ্তাহের ছুটিতে আছেন। তার পর আবার তাঁকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। কিন্তু তার আগেই প্রশাসন যদি তাঁকে নতুন পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেয়, তাহলে মানুষ আর সরকারকে ভুল বুঝবে না।”
আর জি কর কাণ্ডে (RG Hospital) আরও ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন কুণাল ঘোষ। ঘটনার দিন প্রথমে কী খবর দেওয়া হয়েছিল পরিবারকে, কোন তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল, তা নিয়ে তিনি বলেন, ”প্রথমে যাঁরা মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিলেন, তাঁরা ঠিকমতো তথ্য বাইরে বেরতে দেননি। সব কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়নি। তার দায় তো মুখ্যমন্ত্রীর হতে পারে না। ঘটনাস্থল সেমিনার হলের পাশে ভেঙে ফেলতে হল কেন পিডব্লুডিকে (PWD)? এটা তো নির্বোধের মতো কাজ, ভুল সিদ্ধান্ত। যদিও অকুস্থল অটুট, তদন্তে কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। কিন্তু পাশের বিল্ডিং ভাঙা হল কেন? এসবের দায় তো সরকারের নয়। প্রশাসনিক স্তরে ত্রুটি। মানুষের সামনে সব তুলে ধরা উচিত। এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বা প্রশাসনের সঙ্গে যে কোনও সম্পর্ক নেই, তা বোঝাতে হবে। মমতাদির নেতৃত্বের, অভিষেকের সেনাপতিত্বে আমরাও এই ঘটনার বিচার চাই। যারা ধর্ষণ-খুন বলতে দেরি করেছে, তাদের তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা করতে বলেননি। তিনি জানতেনই না ঘটনার কথা। তিনি বাইরে ছিলেন। রাস্তায় ঘটনাটা শুনেছেন। আমরা বলতে চাই, মানুষকে সব বুঝিয়ে চক্রান্তের মোকাবিলা করব আমরা। সফলও হব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.