ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: লাগাতার বিতর্কের জের। বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে এবং মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের। সাসপেন্ড করা হল তাঁদের। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাসপেনশন জারি থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।
আর জি কর ঘটনার আবহে ভাইরাল ‘হুমকি’র অডিওকে কেন্দ্র করে চর্চায় এসেছিলেন বর্ধমান মেডিক্যালের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। শোনা যাচ্ছিল, ৯ আগস্ট সকালে অর্থাৎ তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন নাকি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন বিরূপাক্ষ। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। শোনা যায়, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নাকি চলত তাঁর ‘দাদাগিরি’, ‘থ্রেট কালচার’।
একের পর এক বিতর্কে নাম জড়ানো বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গত বুধবার পদক্ষেপ করে স্বাস্থ্যদপ্তর। তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় কাকদ্বীপ হাসপাতালে। কিন্তু সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ চিকিৎসককে হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে বাধা দেন হাসপাতালের কর্মী, এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবারও দিনভর চলে বিক্ষোভ। এসবের জেরে স্বাস্থ্যভবন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে বিরূপাক্ষকে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলও তাঁকে সাসপেন্ড করল।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সাসপেন্ড করেছে সন্দীপ ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ আরেক চিকিৎসক অভীক দে-কেও। মেডিক্যাল কলেজে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিককেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে দিনকয়েক আগে উত্তাল হয়ে ওঠে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। জুনিয়র চিকিৎসকরা বিক্ষোভও দেখান। লাগাতার বিতর্কের জেরে কঠোর পদক্ষেপ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.