সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তৎপর সিবিআই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফের ওই হাসপাতালে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। হাসপাতালের অধ্যক্ষের ঘরে যান তাঁরা। সেখানেই নিহত চিকিৎসকের তিন সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই অভিশপ্ত রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেই খবর।
শুধু তরুণী চিকিৎসকের সহপাঠীই নন। এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ-সহ ফরেনসিক বিভাগে চারজনকে তলব করে সিবিআই। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস, রীনা দাস, পলি সমাদ্দার ও মলি বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা ওই তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করেন। সিবিআই সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে কোনও চাপ ছিল কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে যান। কেস ডায়েরি নিয়ে হাজিরা দেন তিনি।
এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পাঁচ আধিকারিক নিহত তরুণী চিকিৎসকের উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের নাটাগড়ের বাড়িতে যান। সদ্য স্বজনহারা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। প্রায় ঘণ্টাদেড়েক পর বাড়ি থেকে বেরন আধিকারিকরা। তদন্তের স্বার্থে মৃতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট ডিউটি করছিলেন তিনি। ওই রাতে নৃশংস অত্যাচারের পর খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। পরদিন সকালে জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে তাঁর প্রায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্তে নেমেই তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.