সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের জের। সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে ন্যাশনাল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশনও সাসপেন্ড করে সন্দীপকে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের পর স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে আইএমএ। আরভি অশোকানের নেতৃত্বে একটি কমিট গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতার বাড়িতে যান। তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাও বলেন। এই কমিটি মনে করছে, সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা মোটেও সন্তোষজনক নয়। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সহানুভূতিরও যথেষ্ট অভাব ছিল।
এছাড়া প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। সন্দীপের বিরুদ্ধে এই পেশাকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে শাস্তির দাবিও উঠেছে। তাই আইএমএ-র বাংলা শাখার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্দীপকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, বলে রাখা ভালো, সন্দীপ আইএমএ-র কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট করছিলেন তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তার পর থেকেই তাঁর পদত্যাগের দাবি ওঠে। চাপের মুখে পড়ে এই ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ কাঁধে নিয়ে ‘স্বেচ্ছা’য় পদত্যাগও করেন সন্দীপ। বর্তমানে সিবিআই ও ইডি স্ক্যানারে প্রাক্তন অধ্যক্ষ। দফায় দফায় তাঁকে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁর বাড়িতেও গত রবিবার তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কেন তাঁকে এখনও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, উঠেছে সেই দাবিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.