অর্ণব আইচ: বাড়ির পুরোহিতকে বিশ্বাস করে ঠকে গেলেন শহরের এক গৃহবধূ। তাঁর পান্নার আংটিটি বামুন ঠাকুরই লোপাট করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ধরা পড়ায় ভয়ে পালাতে গিয়ে আবার মোবাইলটি ফেলে গিয়েছিলেন তিনি। আর এখন সেই মোবাইল নম্বরে ফোন করে ওই গৃহবধূকে পুরোহিতের এক আত্মীয় হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতা ঢাকুরিয়ায়। অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে লেক থানার পুলিশ।
[বর্ষার শুরুতেই তিলোত্তমায় বিপর্যস্ত জনজীবন]
ওই গৃহবধূর বাড়ির ঢাকুরিয়ার সেলিমপুরে। বহুদিন ধরেই একটি পান্নার আংটি পরেন তিনি। আংটিটির দাম প্রায় ৪৭ হাজার টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে আংটি শুদ্ধিকরণের জন্য পারিবারিক পুরোহিতকে বাড়িতে ডেকেছিলেন অভিযোগকারী। তিনি বলেন, বাড়িতে বসেই আংটি শুদ্ধিকরণ করে দেবেন। ওই মহিলা শুদ্ধিকরণের পর আংটি ঠাকুরঘরে গণেশের মূর্তির পাশে রেখে দিতে বলেন। ঘটনার সময়ে বাড়িতে ছিলেন ওই গৃহবধূর শ্বাশু়ড়িও। অভিযোগকারীর দাবি, কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন, আংটিটি গণেশ মূর্তির পাশে নেই। এদিকে পুরোহিত তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করছেন। আংটির কথা জানতে চাইলে, প্রথম অস্বীকার করেন তিনি। সন্দেহ হওয়ার পুরোহিতের ব্যাগ দেখতে চান ওই গৃহবধূ। এরপরই অভিযুক্ত পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এদিকে তাড়াহুড়ো করে পালাতে গিয়ে মোবাইলে ওই বাড়িতেই ফেলে যান পুরুতমশাই। আংটটি আর পাওয়া যায়নি। উলটে পুরোহিতের ফেলে যাওয়া মোবাইলে ফোন করে তাঁরই এক আত্মীয় ওই গৃহবধূকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। লেক থানার পুরোহিত ও তাঁর আত্মীয়ের বিরুদ্ধে আংটি চুরির অভিযোগে এফআইআর করেছেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা গৃহবধূ। অভিযুক্তদের সন্ধান করছে পুলিশ।
[বরানগরে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মহিলার ঝুলন্ত দেহ, গ্রেপ্তার স্বামী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.