ফাইল ছবি।
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: নার্সিংহোম থেকে ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি। তাই তিন ধরে বাড়িতেই ভাইপোর দেহ আগলে বসেছিলেন পিসি ও পিসেমশাই। প্রবল দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। পরে ওই বাড়ি থেকে পচাগলা দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলির একবালপুরে।
[মা ও সদ্যোজাতর পাশে রাতভর রাখা রক্তাক্ত মৃতদেহ, কাঠগড়ায় শহরের নার্সিংহোম]
মৃত ওই যুবকের কাল্লু বাসফোর। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। কয়েক বছর আগে চাকরির সন্ধানে কলকাতায় আসেন বছর আটচল্লিশের ওই ব্যক্তি। থাকতেন একবালপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডে পিসির বাড়িতে। চাকরি তেমন কিছু জোটেনি। তবে বন্দর এলাকায় ছোটখোটো কাজ করতেন কাল্লু। সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পিসির বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থায় অবনতি হয়। কাল্লুকে একবালপুরেরই একটি নার্সিংহোমে ভরতি করার সিদ্ধান্ত নেন বাড়ির লোকেরা। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান কাল্লু বাসফোর। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের কাছে যখন ডেথ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়, তখন তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, ভোটার কার্ড ছাড়া ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব নয়। সেই পরিচয়পত্র কাল্লুর কাছে ছিল না। ছিল না একবালপুরের পিসির বাড়িতেও। সেই পরিচয়পত্র ছিল গাজিয়াবাদের বাড়িতে। ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়ায় ভাইপো কাল্লুর মৃতদেহ সোজা নিজেদের বাড়িতেই নিয়ে চলে আসেন পিসি ও পিসেমশাই। খবর দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাড়িতে। সেখান থেকে কাল্লুর সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে ট্রেনে চেপে রওনা দিয়েছেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু, ততদিনে কাল্লু দেহে পচন ধরতে শুরু করে। শেষর্যন্ত, বৃহস্পতিবার মৃতদেহ উদ্ধার করল একবালপুর থানার পুলিশ।
[ক্লাস চলাকালীন স্কুলের দোতলা থেকে পড়ে গুরুতর জখম ছাত্রী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.