সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ইডি (ED) দপ্তরে টানা ১১ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh)। বেলা ১১টা ২২ নাগাদ তিনি ঢোকেন সিজিও কমপ্লেক্সে। যখন বেরন, তখন ঘড়িতে রাত ১০টা ৪৫। এই দীর্ঘ সময়ে দফায় দফায় তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়। ইডি দপ্তর সূত্রে খবর, এর মধ্যে একটিবারও খাবার খাননি। অফিসাররা তাঁকে একাধিকবার খাওয়ার কথা বলেন, খাবার নিয়েও আসা হয়। কিন্তু সায়নী সাফ জানিয়ে দেন, তিনি ইডির দেওয়া খাবার মুখে তুলবেন না। যুব তৃণমূল (TMC) নেত্রীর এমন লৌহকঠিন মনোভাব দেখে তাজ্জব দুঁদে তদন্তকারীরাও। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তাঁর প্রশংসাও করেছেন বলে খবর।
শুক্রবার সল্টলেকের (Salt Lake)সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় বলেছিলেন, তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করবেন তিনি। তবে প্রচারের মাঝে এভাবে তলব করা নিয়ে স্পষ্টতই অসন্তুষ্ট হয়েছেন সায়নী ঘোষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই মনোভাব প্রতিহিংসাপরায়ণতা বলেই মনে করছেন তিনি। আর ওইদিন ভিতরে জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে সায়নীকে তদন্তকারীরা খাওয়ার কথা বললেও তিনি নাকি স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চায় যারা, তাদের দেওয়া খাবার তিনি খেতে চান না। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাইরে থেকে সায়নীর জন্য খাবার (Food) পৌঁছে দেওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। অর্থাৎ তিনি বাইরে থেকে খাবার আনিয়েছেন। তবে তা খেয়েছেন কি না, জানা যায়নি।
ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে আগাগোড়া সায়নী ছিলেন প্রত্যয়ী (Confident)। অনেক প্রশ্নের উত্তর তিনি ঠিকমতো দিতে পারেননি। কিন্তু প্রত্যয়ের অভাব ঘটেনি কোথাও। পাশাপাশি, তিনি যে রাজনৈতিক নেত্রী, তাও শরীরী ভাষায় প্রকাশ করেছেন। আর তাঁর এই আত্মবিশ্বাসই তদন্তকারীদের খানিকটা বিস্মিত করেছে। এরপর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক তথ্য, নথি নিয়ে সায়নীকে ফের ৫ জুলাই তলব করা হয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ওইদিন কি আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন? তাতে সায়নীর আত্মবিশ্বাসী জবাব, ”আইনজীবী কেন? আমি তো আছি বস্।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.