স্টাফ রিপোর্টার: বেতন বাড়ল জলসাথীদের। একইসঙ্গে পরিবহণ নিগমের চুক্তিভিত্তিক এবং এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত চালক ও কন্ডাক্টরদেরও বেতন বৃদ্ধি করা হল। পুজোর মুখে পরিবহণ দপ্তরের এক অনুষ্ঠানে এসে একথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই নতুন এই ভাতা কার্যকর করার ফলে জলসাথীদের বেতন ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হল ১২ হাজার। আর চালক, কন্ডাক্টরদের ভাতা ১১,৫০০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল সাড়ে তেরো হাজার।
বেতনবৃদ্ধির পাশাপাশ জলসাথীদের অবসরের বয়সসীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। ৬০ বছরে অবসরের সময় এই কর্মীরা তিন লক্ষ টাকা করে পাবেন। পাশাপাশি প্রতি বছর তাঁদের দু’সেট করে জামা-প্যান্ট দেওয়া হবে। এর ফলে ৫২৬ জন জলসাথী এবং কয়েক হাজার চুক্তিভিত্তিক চালক ও কন্ডাক্টর উপকৃত হবেন।
সোমবার মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ভেসেল এবং আধুনিক নৌকা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এসে শুভেন্দু অধিকারী এই কর্মীদের বেতন বাড়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “জলসাথীদের এবং চুক্তিভিত্তিক এবং এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত বাসচালক এবং কন্ডাক্টরদের বেতন ২০০০ টাকা করে বাড়ানো হল। পাশাপাশি অবসরের সময় তাঁদের তিন লক্ষ টাকা করে এককালীন দেওয়া হবে। কাজের সুবিধার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিও তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মন্ত্রী। জলসাথীদের হাতে এবার স্মার্টফোন দিয়ে দেওয়া হবে দ্রুত। তাঁরা নিজেদের গ্রুপের মাধ্যমে প্রতি ঘাটের তথ্য আদানপ্রদান করবেন। যাত্রীসুরক্ষায় বিভিন্ন ঘাটে পাঁচ হাজার লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হবে।” এদিন মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ১১টি বড় ভেসেল এবং ৪৬টি নৌযানের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। বিভিন্ন পুরসভা, পঞ্চায়েত অফিস, জেলা পরিষদের হাতে তা তুলে দেওয়া হয়।
মন্ত্রী আরও জানান, যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবেই ভুটভুটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ধাপে ধাপে। পাশাপাশি বেআইনি অনেক ঘাট রয়েছে, যেখান দিয়ে নৌকা চলাচল করে, সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। এদিন মন্ত্রী সেখান থেকেই ঘোষণা করেন, ডিসেম্বরের আগেই লন্ডনের ধাঁচে দুটি ছাদ খোলা বাস নামানো হবে। চলবে নিউটাউনের রাস্তায়। বাসগুলিতে যাত্রীরা জয় রাইড করতে পারবেন। মিলেনিয়াম পার্কের অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ধর্মতলায় ট্রাম উদ্বোধন করতে আসেন। সেখান থেকে দুটি এসি এবং ছ’টি এক কামরার নন এসি ট্রাম উদ্বোধন করেন। এসিতে ৩৯ এবং নন এসিতে ৩৭ টি আসন রয়েছে।
পুজোর ভিড়ে যাত্রী সামলাতে নতুন ট্রামগুলি কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলেই জানান মন্ত্রী। বলেন, “অনেকেই বলছিলেন ট্রাম তুলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এবার তা আর বলতে পারবেন না। আসলে ট্রাফিকের কারণেই কিছু রুটে ট্রাম বন্ধ করতে হয়েছে। মানুষ এখন গতি চায়। কিন্তু ট্রাম চললে যানজট বাড়ে। তবে এই এক কামরার ট্রাম বেশ জনপ্রিয়। তবে ট্রাম কমলেও কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়নি। ছাঁটাই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের দায়বদ্ধতা।’’ একইসঙ্গে তিনি জানান, আরও বেশি সংখ্যক ইলেকট্রিক বাস নামানো হবে শহরে। এই বাসে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য যথেষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.