দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা অতিমারীর জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল। অনলাইন ক্লাস চললেও সরকারি স্কুলের মিড-ডে (Mid Day Meal) প্রকল্প বন্ধই পড়ে রয়েছে। বদলে চাল-ডালের মতো খাদ্যশস্য পৌঁছে যাচ্ছে পড়ুয়াদের বাড়িতে। আর এই ব্যবস্থা চালু হতেই আশঙ্কায় ভুগছিলেন মিড-ডে মিলের কর্মীরা। ভাবছিলেন, তাঁদের ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে না তো? সেই সব প্রশ্নের এবার জবাব দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর (School Education Department)। একইসঙ্গে মিড-ডে মিলের কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণাও করল সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
প্রায় একবছর যাবৎ বন্ধ স্কুল। ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে আসছে না। বন্ধ মিড ডে মিলের রান্না। তবে রাজ্য সরকার চাল-ডালের মত খাদ্যশস্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুল থেকে বিলি করছে। অতিমারীতে খাবার রান্না না হওয়ায় তাঁদের ভাতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কায় ছিলেন মিড-ডে-মিল কর্মীরা। বুধবার স্কুল শিক্ষা দপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, কারও ভাতা বন্ধ হবে না। বরং আগে মিড-ডে-মিল কর্মীদের ১০ মাসের ভাতা দেওয়া হত। তা বাড়িয়ে এবার ১২ মাস ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রুপে যতজনই থাকুক না কেন, ভাতার পরিমাণ এক থাকবে। গ্রীষ্মের ছুটি ও পুজোর ছুটির সময় রান্না না হওয়ায় ভাতা বন্ধ থাকে। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের অধীনে মিড-ডে মিলের প্রকল্প আধিকারিক জেলাশাসকের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, এবার থেকে ১২ মাস ভাতা দিতে হবে মিড-ডে মিলের কর্মীদের। কর্মীরা রান্না করলেও তাঁদের খাদ্যের বরাদ্দ থাকে না। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কর্মীদের রান্না করা খাদ্যের অধিকারের দাবি তুলেছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা বলেন, “মিড-ডে মিল কর্মীদের ১২ মাসের ভাতা প্রদানের দাবি আদায় আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের জয়। সেইসঙ্গে তাঁদের দুবেলার খাদ্যসামগ্রী প্রদানের দাবি জানাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.