গোবিন্দ রায়: বছরের শুরুর দিনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire) কৈখালিতে। আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কারখানার নিরাপত্তারক্ষীর। সূত্রের খবর, অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি। শনিবার বিকেলে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা।
বছরের প্রথম সকালে কৈখালির ওই রং কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। পাশের একটি কারখানায়ও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। যার জেরে আতঙ্ক আরও বাড়ছিল। তবে সকাল থেকে ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের ১৭টি ইঞ্জিন। কিন্তু এখনও কোথাও কারখানার পকেটে আগুন রয়ে গিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন দমকলকর্মীরা। চলছে কুলিং অফ প্রসেস-ও। সেই প্রক্রিয়া চলাকালীনই কারখানার ভিতরে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দমকল সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া দেহটি ঝলসে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল থেকেই কারখানার নিরাপত্তারক্ষীর খোঁজ মিলছিল না। বিকেলে তাঁরই দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম কানাই সাঁতরা। বয়স ৬৮। আগুন লাগার পর কারখানা থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে পারেননি বলেই মনে করা হচ্ছে। যে সংস্থার মাধ্যমে তাঁকে কারখানার নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে খবর।
এদিন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিধায়ক অদিতি মুন্সি। আসেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। জানিয়েছেন, আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে। জল নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। কারখানা অবধি জল নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে পাশের কারখানার আগুন নেভাতে দেওয়াল ভাঙা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে, রং কারখানার পাশেই দমদম বিমানবন্দরের পাঁচিল। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিমান ওঠানামা ব্যাহত হয়নি। তবে বিমানবন্দর থাকায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.