ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য : মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে অভিমান ভাঙল শিলিগুড়ির মেয়র ও বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যর। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেছেন, শিলিগুড়ি পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজে রাজ্য সরকার সবরকম সাহায্য করবে।
যদিও ধর্মতলায় শিলিগুড়ির মেয়রের ধরনা নিয়ে কটাক্ষ করে পুরমন্ত্রী বলেছেন, “লোকসভা ভোট আসছে, তাই একটু প্রচার পাওয়ার জন্য নড়াচড়া শুরু করেছে সিপিএম। উনি যখন পুরমন্ত্রী ছিলেন তখন তৃণমূল ও কংগ্রেস পুরবোর্ডকে পুরোটাই বঞ্চনা করতেন। আমাদের সরকার শিলিগুড়ির পাওনা পুরোটাই দিয়ে দিয়েছে। দিল্লি আমাদের বরাদ্দ পাওনা না দিলেও আমরা সব অর্থ মিটিয়ে দিয়েছি।”
[কৌশলে ভোটপ্রচার, ‘মেয়ের বিয়ে’তে গিফ্ট চাইলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি]
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার দুপুর বারোটা নাগাদ শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ধরনায় বসেন। সঙ্গে ছিলেন অন্তত কুড়ি থেকে বাইশ জন কাউন্সিলর। বিকেল তিনটে নাগাদ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীও সেই ধরনায় যোগ দেন। অবশ্য তার আগেই পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে শিলিগুড়ি পুরসভার বকেয়া নিয়ে আলোচনা স্থির হয়ে গিয়েছে। মহাকরণে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনার পর অশোক ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। যতটা সম্ভব দেওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।”
পুরমন্ত্রী বলেছেন, “যতটা সম্ভব টাকা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে রাজ্য, বিশেষত শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল ও জঞ্জাল অপসারণের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব রাজ্য সরকার সাহায্য করবে।” পাশাপাশি শিলিগুড়ির মেয়রকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “রাজে সব পুরসভায় কাজ চলছে জোরকদমে। শুধুমাত্র শিলিগুড়ি পুরসভাই গত চার বছর ধরে অভিযোগ করছে।” তবে তার আগে ধরনামঞ্চ থেকেও বিমান বসু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তোলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.