অর্ণব আইচ: উত্তরবঙ্গ নয়, কলকাতায় মিলল হরিণের ছাল। শহরে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের ছক বানচাল করল বনদপ্তর। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জন পাচারকারীকেও। ধৃতদের মধ্যে একজন ওড়িশার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বনদপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, উদ্ধার হওয়া হরিণের ছালের আনুমানিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
কখনও হাতির দাঁত তো কখনও আবার চিতাবাঘের ছাল। উত্তরবঙ্গ থেকে বন্যজন্তুদের দেহাংশ পাচার হয়ে যায় নেপাল, ভুটান এমনকী তিব্বতেও। রবিবার রাতেও আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায় হাতির দাঁত-সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে সীমা সুরক্ষা বল বা এসএসবি। আর এবার খাস কলকাতাতেও বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের পর্দাফাঁস করল বনদপ্তর। জানা গিয়েছে, বনদপ্তরের আধিকারিকরা গোপন সূত্রে খবর পান যে, ওড়িশা থেকে বিপুল পরিমাণ হরিণের ছাল এ রাজ্যে পাচার করার চেষ্টা করছে চোরাকারবারীরা। ওড়িশা থেকে বাবুঘাটে আসা বাসের উপর নজর রাখছিলেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। শেষপর্যন্ত সাফল্য মিলল সোমবার। সকালে ওড়িশা থেকে একটি বাস এসে পৌঁছয় বাবুঘাটে। যাত্রীদের ব্যাগে তল্লাশি চালানোর সময় বিপুল পরিমাণ হরিণের ছাল উদ্ধার করল বনদপ্তর। ধরা পড়েছে দু’জন পাচারকারীও। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতদের একজনের নাম দেবদুলাল নন্দী এবং আরেকজনের নাম অর্জুন রানা। অর্জুনের বাড়ি ওড়িশায়। কিন্তু, ওড়িশার কোথা থেকে হরিণের ছাল কলকাতায় আনা হচ্ছিল? কোথায় তা পাচার করা হত? তা এখনও জানা যায়নি। ধৃতদের জেরা করছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.