সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজোর রেশ কাটতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে চিরাচরিত নিয়মে। রাত পোহালেই মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠবে ধরাধাম। অতঃপর থলে হাতে গৃহলক্ষ্মীরা ইতিমধ্যেই হাজির হয়েছেন বাজারে। ফল, শাক-সবজি, নারু-মুড়কি, গুড়, এলাহি ব্যাপার সব। কিন্তু এই আয়োজন করতে গিয়ে যে ক্রেতাদের কপালে হাত! কারণ, বাজারে আগুন। পুজোর যাবতীয় সামগ্রীর দামই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। মা লক্ষ্মীও নাগালের বাইরে। অর্থাৎ দাম বেড়েছে। সে পটে আঁকাই হোক কিংবা মূর্তি। পকেটের কথা মাথায় রেখে তাই পুজো-সামগ্রীর তালিকাতেও কাটছাঁট করতে হয়েছে মধ্যবিত্ত বাঙালিকে।
অন্যান্য দিনের তুলনায় শাক-সবজির দাম অনেকটাই বেশি। তাই ‘মা লক্ষ্মী’দের হেঁশেলে এবার ভোগের ক্ষেত্রেও রাশ টানতে হয়েছে। সবে দুর্গাপুজো গিয়েছে, তাই লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে মধ্যবিত্তদের। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ফল এবং সবজি বাজারের হালহকিকত। আপেল ৬০ থেকে ১০০ টাকা। ন্যাসপাতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। পেয়ারা কোথাও বা ৬০, ৬৫ আবার কোথাও মিলছে ৭০ টাকায়। বেদানা ৮০-১০০ টাকা। শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা। নারকেল ৩৫ থেকে ৫০ টাকা। আঙুর ১৮০ থেকে বেড়ে ২০০ টাকা। পানিফলও ৮০ টাকার কোঠায় পৌঁছে গিয়েছে।
অন্যদিকে, ভোগের বাজারের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। একটু ভাল বেগুন কিনতে গেলে ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে পড়ছে। মাঝারি মানের দাম বেগুনের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রাঁচি থেকে আমদানি হওয়া নতুন আলু ৪০ টাকা। প্রতিবারের মতো বাজারে নতুন ফুলকপি এসেছে। অতএব দরও বেশি। ফুলকপির সাইজের উপর নির্ভর করছে দাম। বড় ফুলকপি একেকটা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। টম্যাটো ৫০ টাকা। ভাল মানের মুগডালের দামও বেশি। খানিক বেড়েছে গোবিন্দভোগ চালের দামও। বাকি অন্যন্য সবজির দরও এই তালিকা থেকে রেহাই পায়নি। অনেকের বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজোয় মাছ খাওয়ার রীতি রয়েছে। মাছের রাজা ইলিশেরও দর তাই উৎসব বুঝে হাঁকাচ্ছেন মাছ বিক্রেতারা।
এককথায় লক্ষ্মীপুজোর বাজারে আগুন। কিন্তু আকাশছোঁয়া দাম হলেও খামতি রাখা যাবে না মা লক্ষ্মী আরাধনায়। অতএব কপালে হাত নিয়েই এবারের কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় মধ্যবিত্তরা বর চাইছেন ‘জিনিসপত্রের দাম যেন কমে’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.