সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাইফোঁটার দিন রাজ্য রাজনীতিতে বড়সড় চমক। বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দুপুর সওয়া দুটো নাগাদ শোভনবাবু পৌঁছান মমতার বাড়িতে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই আছেন।
একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রতিবছরই ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ফোঁটা পান শোভন।ব্যতিক্রম ছিল গতবছর। রাজনৈতিক দূরত্বের কারণেই গতবছর মমতার বাড়িতে ভাইফোঁটায় উপস্থিত ছিলেন না শোভন। যদিও, তখনও শোভনবাবু তৃণমূলেই ছিলেন। মন্ত্রিত্ব তথা মেয়র পদও ছাড়েননি।
বছর ঘুরতেই দেখা গেল উলটো ছবি। বৈরিতা ভুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ফোঁটা নিতে হাজির হলেন প্রাক্তন মেয়র। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী তথা অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর একটা ২০ নাগাদ গোলপার্কের বাসা থেকে মমতার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন শোভন-বৈশাখী। দুপুর সওয়া দুটো নাগাদ হরিশ চ্যাটার্জি লেনে মমতার বাড়িতে পৌঁছে যান তাঁরা। সেসময় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত অনেকেই অবাক হয়ে যান তাঁদের দেখে। প্রিয় ‘কানন’কে অবশ্য নিরাশ করেননি মমতা। তাঁকে যথাযত রীতি মেনেই ফোঁটা দিয়েছেন ‘দিদি’, এমনটাই সূত্রের খবর। তবে, তাদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক কথা হয়নি। শোভনবাবুকে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অগস্ট তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শোভনবাবু। দিল্লির বিজেপি সদর দপ্তরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান তিনি। সেখানেও সঙ্গে ছিলেন বৈশাখীদেবী। কিন্তু, রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে খুব একটা বনিবনা হয়নি শোভন-বৈশাখীর। বেশ কয়েকটি ইস্যুতে মতানৈক্য হয় তাঁদের। সেভাবে রাজ্য বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি শোভনবাবুকে। এদিকে, বিজয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল, বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার পাশাপাশি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব কমছে শোভন-বৈশাখীর। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে শোভনবাবুর ফোঁটা নিতে যাওয়া, সেই জল্পনা আরও উসকে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.