সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতে যোগদানের পর প্রায় দেড় বছর কেটে গিয়েছে। অবশেষে সোমবার গেরুয়া শিবিরের প্রকাশ্য কর্মসূচিতে প্রথমবার যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovon Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার রোড শোয়ে অংশ নেন তাঁরা। তারপরই সভা মঞ্চ থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন দু’জন। পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে না দেওয়া থেকে শাসকদলের অন্দরের দুর্নীতি, সবই উঠে আসে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে। তাঁর পরই আবার বক্তৃতা রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিমকেও খোঁচা দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রোড শোয়ের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ ইস্যু নিয়ে তোপ দাগেন শোভন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জেপি নাড্ডা থেকে অমিত শাহ- প্রত্যেক বিজেপি নেতা-মন্ত্রীকেই ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়েছে তৃণমূল শিবির। সেই প্রসঙ্গেই শোভনের কড়া জবাব, “যারা আজ বহিরাগত বলে সুর চড়াচ্ছে, তারাই একদিন সর্বভারতীয় পার্টির শরিক দল ছিল। ভারতীয় জনতা পার্টি অর্থাৎ বিজেপির সাহায্য নিয়েই সেই পার্টির জন্ম হয়েছিল। আর আজ তারা বহিরাগত হয়ে গেল। একথা বলার আগে নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড়ানো উচিত।”
এদিনই রানাঘাটের সভায় বিজেপিকে ভারতীয় জাঙ্ক পার্টি বলেন মমতা। তারও পালটা দেন শোভন। বলে দেন, বিজেপির সংকেত পেয়ে জন্ম হয়েছিল দলটার। ২২ বছর পর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যখন তাঁর পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে, তখন জাঙ্ক শব্দটি মনে পড়েছে। সঙ্গে জুড়ে দেন, তৃণমূলের উপর আস্থা হারিয়েছে মানুষ। একুশের নির্বাচনে বিজেপিই জিতবে।
এরপরই নিজের মন্তব্য পেশ করতে এসে বৈশাখী (Baishakhi Banerjee) প্রথমেই খোঁচা দেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। বলে দেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে অনেক দুষ্টু ভাই রয়েছে। এক দুষ্টু ভাই আবার এ শহরকে মিনি পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেন।” বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নয়, অন্য ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ই শোভনের দলত্যাগের কারণ বলেও ব্যাখ্যা করেন কলকাতা জোনের কমিটির সহ-আহ্বায়ক। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেন, দলের অন্দরে কারও সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব নেই তাঁর। শঙ্কুদেব পন্ডার সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্যের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন বৈশাখী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.