অর্ণব আইচ: তিনবার মাকে ফোন করেছিলেন অর্পিতা। কিন্তু জেলের ফোন ধরেননি মা। তাই ফের যদি মা ফোন না ধরেন, তাই যাতে অন্তত দিদিকে জেল থেকে ফোন করা যায়, অশ্রুসজল কণ্ঠে বিচারককে সেই আবেদন জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এর পরই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মেয়ে অর্পিতার ফোন কি ধরতেই চাননি তাঁর মা? পরপর তিনদিন ফোন করলেও মা জেলের ফোন ধরেননি কেন? অচেনা নম্বর বলেই, না কি ইচ্ছাকৃতভাবেই মেয়ের ফোন মা ধরতে চাননি, সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে।
সোমবার ব্যাঙ্কশালে ইডি-র বিশেষ আদালতে ভারচুয়াল পদ্ধতিতে শুনানি হয় পার্থ ও অর্পিতার। অর্পিতার আইনজীবী এদিনও জামিনের আবেদন জানাননি। তার বদলে অল্পদিনের জন্য জেল হেফাজতের আবেদন করেন। অর্পিতা প্রায় কেঁদে ফেলেই বিচারককে জানান, গত ১৫ দিন ধরে তিনি মায়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছেন না। বিচারক তাঁকে বলেন, জেল কর্তৃপক্ষকে ফোন করানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়। অর্পিতা জানান, তাঁর ফোন মা ধরতে পারেননি। তাই মায়ের খবর নেওয়া হয়নি।
অর্পিতার আইনজীবী জানান, তিনবার তিনি মাকে ফোন করেছিলেন। তাই এমন ব্যবস্থা করা হোক, যাতে অর্পিতা মায়ের খবর পান। মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলে যাতে দিদির সঙ্গে যোগাযোগ হয়, সেই আবেদন জানান অর্পিতা। ওই আবেদনের ভিত্তিতে যাতে মা অথবা দিদির সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারেন, সেই মর্মে আলিপুর মহিলা জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে সিবিআইয়ের (CBI) মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় পার্থ বলেন, ”আমার শরীর দিচ্ছে না। রোজ রোজ আমার বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা হচ্ছে। আমাকে আমার মতো থাকতে দিন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিন।” পালটা সিবিআই তাঁর জামিনের বিরোধিতায় ফের ‘প্রভাবশালী’ তত্ব সামনে আনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.