প্রতীকী ছবি
অর্ণব দাস, বারাকপুর: আর জি কর মেডিক্যালের ডাক্তারি ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছিল কামারহাটির ইএসআই হাসপাতাল কোয়ার্টারে। মৃতার মা কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালে কর্মরত। সেই সূত্রেই বছর কুড়ির ছাত্রী মায়ের সঙ্গে কোয়ার্টারে থাকত। তাঁর বাবা ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, কর্মসূত্রে থাকেন মু্ম্বইতে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি সেখান থেকে ছুটে আসেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত আর জি করের দ্বিতীয় বর্ষে এমবিবিএস ছাত্রী। কলেজে তিনি বেশ শান্ত স্বভাবেরই ছিলেন বলে দাবি সহপাঠীদের। শুক্রবার কোয়ার্টারে একাই ছিলেন বছর কুড়ির তরুণী। ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসক মা তাঁকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি। তাতেই সন্দেহ হয় তাঁর। তড়িঘড়ি তিনি কোয়ার্টারে ছুটে যান। তারপর দরজা ভেঙে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মানসিক অবসাদ থেকেই ডাক্তারি ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে সুইসাইড নোট খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে মৃত্যু নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পরিবারও এ বিষয়ে অন্ধকারে। মেয়ের মধ্যে সম্প্রতি কোনও বদল দেখতে পাননি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মা। ফলে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কামারহাটি থানার পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সহপাঠীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.