সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফের প্রাণহানি। এবার মৃত্যু হল দু’জনের। একজন শ্যামবাজারের এবং অপরজন নিউটাউনের বাসিন্দা। দু’জনের ডেথ সার্টিফিকেটেই এনএস ১ পজিটিভের উল্লেখ রয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, এনএস ১ পজিটিভ মানেই রোগীর ডেঙ্গু হয়েছে তা ধরা যায়। তা সত্ত্বেও কেন সরাসরি ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ করা হল না, সে বিষয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
গত বুধবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন দেবাংশী মণ্ডল নামে এক কিশোরী। অসুস্থ ওই স্কুলছাত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তার ঠাকুমা। চিকিৎসক প্রথম কয়েকদিন কিছু ওষুধ খেতে বলেন। তবে তাতেও কমেনি জ্বর। তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে বেশ কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা করাতে দেন। সেই অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করানো হয় তার। তাতেই ওই কিশোরীর রক্তে এনএস ১ পজিটিভ জীবাণুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। চিকিৎসক আবার ওষুধপত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তবে পরিবারের দাবি, তাতে বিশেষ কাজ হচ্ছিল না। বরং ক্রমশই কমছিল কিশোরীর প্লেটলেট। সোমবার দেবাংশীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। তাকে তড়িঘড়ি আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতের দিকে মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।
ওই একইদিনে মৃত্যু হয় নিউটাউনের বাসিন্দা আরেক তরুণীর। ফিরজিনা খাতুন নামে ওই মহিলা নারকেলবাগানের এক আবাসনে ভাড়া থাকতেন। বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয় তাঁর। একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে ফিরজিনার। দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। ফিরজিনার ডেথ সার্টিফিকেটেও এনএস ১ পজিটিভের উল্লেখ রয়েছে।
রাজ্যজুড়ে করাল থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গু। ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চরিত্র বদলে প্রাণহানি ঘটাচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ। শীতের শুরুতেও কেন বিদায় নিচ্ছে না ডেঙ্গু, তা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। আবার ডেঙ্গুর পাশাপাশি রাজ্যে হানা দিয়েছে স্কাব টাইফাসও। দু’য়ের প্রকোপে ক্রমশই বাড়ছে আতঙ্ক। আবহাওয়া বদলের জেরে সামান্য জ্বর হলেও আগাম সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সুস্থ থাকতে চাইলে বেশি করে জল খাওয়ার কথাও বলছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.