স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বভ্রমণ করেছে যে কন্যা, সেই তো আদর্শ গুরু! হুগলির চন্দননগরের সেন্ট জোসেফ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী দিয়াসিনী রায়কে এই কারণেই নিজের শিক্ষাগুরু বেছে নিয়েছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যার শুরুটা হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। বেশ চমকের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার জানা গেল গোটা বিষয়। দিয়াসিনীর মা ডা. দেবাঞ্জলি রায় জানিয়েছেন পুরো গল্প। ব্যবসায়ী স্বামী কৌশিক আর মেয়েকে নিয়ে সদ্য গোটা পৃথিবী ভ্রমণ করে ফেরেন দেবাঞ্জলি। এত অল্প বয়সে গোটা পৃথিবী ঘুরেছে খুদে! শুনেই দিয়াসিনীকে ডেকে নেন রাজ্যপাল। মনে মনে অনেকদিন আগেই রাজ্যপাল ভেবে রেখেছেন বাংলা শিখবেন। শিক্ষাগুরু তথা শিশু গুরু হিসাবে তখনই দিয়াসিনীকে বেছে নেন রাজ্যপাল।
প্রস্তাব দেন, সরস্বতী পুজোর দিন ওই শিশুর কাছেই হাতেখড়ি দেবেন তিনি। শিশুটিকে বলেন, ‘‘তোমায় আমার খুব ভাল লাগল। তোমায় ডাকব সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে। তুমি আমার শিশু গুরু হবে।’’ যেমন কথা, তেমন কাজ। এদিন আউড়ে আউড়ে সেই দিয়াসিনীর কাছেই ‘অ’, ‘আ’ শিখলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে ‘ভাল ছাত্র’ বলে জানিয়ে দিল দিয়াসিনীও।
উল্লেখ্য, সরস্বতী পুজোর দিন হাতেখড়ি বাংলার চিরকালীন এক অনুষ্ঠান। মাতৃভাষায় প্রথম পড়াশোনা শুরুর জন্য ছোটদের হাতেখড়ি দেওয়ান অভিভাবকরা। তবে সরকারি স্তরে এই অনুষ্ঠান আগে কখনও হয়নি বাংলায়। এবার হয়েছে। বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) বাংলা ভাষা শিখতে আগ্রহী হয়ে একেবারে শিক্ষানবীশদের মতোই হাতেখড়ি অনুষ্ঠান দিয়ে তা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনের বাইরে মঞ্চ করে হয় সেই অনুষ্ঠান। বহু অতিথির সমাগম ছিল। প্রধান অতিথি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ছোটরা রাজ্যপালের হাত ধরে শেখাল অ, আ। আর প্রথম বাংলা শব্দ হিসেবে তিনি শিখলেন ‘মা’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.