গোবিন্দ রায়: জল্পনা ছিলই। সেটাই সত্যি হল সোমবার। প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু মামলায় সিআইডি-র (CID) হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। সূত্রের খবর, এদিন ইমেল পাঠিয়ে তিনি সিআইডি-কে জানিয়েছেন যে ভবানীভবনে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে নয়। এরপর তাঁকে নতুন করে ফের নোটিস পাঠানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার তরফে।
সব প্রস্তুতি সারা ছিল। সিআইডি-র ৫ সদস্যের একটি টিম শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে প্রশ্নাবলি তৈরি করে ফেলেছিল। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার সদর দপ্তর ভবানীভবনেও (Bhabani Bhavan) প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল সকাল থেকে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, সময়মতো এলেন না শুভেন্দু অধিকারী। বদলে সিআইডি-র মেল আইডিতে এল তাঁর লেখা একটি ইমেল (Email)। যেখানে তিনি হাজিরা দেওয়ার অপরাগতার কথা জানিয়েছেন। সোমবার দিনভর তাঁর ম্যারাথন কর্মসূচি রয়েছে। তাই সিআইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে পারছেন না, ইমেলে এমনই জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এ নিয়ে তিনি হাই কোর্টেও যেতে পারেন বলে খবর।
তাঁর এই চিঠি পেয়ে সিআইডি আধিকারিকরা জরুরি ভিত্তিতে একটি বৈঠকে বসেছেন বলে সূত্রের খবর। শুভেন্দুকে নতুন করে সমন পাঠানো হবে নাকি অন্য কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে – সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই এই বৈঠক বলে জানা যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নতুন করেই ফের সমন পাঠানো হতে পারে শুভেন্দু অধিকারীকে। তারপরও যদি তিনি হাজিরা এড়ান, সেক্ষেত্রে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে সিআইডি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবরে নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরের দিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর ২ বছর ৮ মাস পর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। দায়ের হওয়া অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই মামলায় বেশ কয়েকজনের বয়ান ইতিমধ্য়েই রেকর্ড করেছে সিআইডি। এবার শুভেন্দুর সঙ্গেও কথা বলতে চান তদন্তকারীরা। কিন্তু সোমবার তিনি হাজিরা না দেওয়ায় সেই পদ্ধতি কিছুটা জটিল হয়ে উঠল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.