গোবিন্দ রায়: যতক্ষণে হাই কোর্টে কাঁথিতে মহা সনাতনী ধর্ম সম্মেলনের রায় এল, ততক্ষণে বেলা গড়িয়ে সন্ধে থেকে রাত হয়ে গিয়েছে। কর্মসূচিও সেরে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন কর্মসূচিতে যোগদানকারীরা। অক্ষয় তৃতীয়ায় কাঁথিতে মহা সনাতনী ধর্ম সম্মেলন করার জন্য মঙ্গলবার অনুমতি দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সর্বাধিক ৩ হাজার লোক নিয়ে শর্তসাপেক্ষে ওই ধর্ম সম্মেলনের অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার বিকেলেই হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
যদিও মঙ্গলবার শুনানি না হওয়ায়, বুধবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলা শুনানির জন্য ধার্য করেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই মতো দুপুর ১ টা থেকে ৩ পর্যন্ত দুঘন্টা টান টান শুনানি হয়। ততক্ষণে ধর্ম সম্মেলনের কর্মসূচি প্রায় শেষ। সেকথা আদালতে জানান আয়োজকদের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যও।
তিনি জানান, “আমাদের অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। আর কিছুক্ষণের মানুষেরা চলেও যাবেন।” যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের প্রেক্ষিতে ধর্ম সম্মেলন বন্ধ করতে মরিয়া রাজ্য। হাই কোর্টে জোর করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। প্রশ্ন তুলে তাঁদের দাবি, “এই আবেদনকারী যখন আবেদন করেছিল তখন রাত ৯ টা তেও দ্রুততার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির তরফে সময় – দিন ধার্য করে দেওয়া হয়। আর রাজ্য চাইলেই হয় না।” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও সংযোজন, “যেভাবে প্রশাসনিকভাবে প্রধান বিচারপতি এবং আদালতের প্রশাসনের দ্বারা আমাদের(রাজ্যকে) হয়রান হতে হল সেটা আমাদের জন্য ঠিক নয়।”
এপ্রসঙ্গে অবশ্য বিচারপতি সৌমেন সেনের স্পষ্ট মন্তব্য, “হাই কোর্ট প্রশাসন বা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ আনেন তাহলে এই মামলা আমি শুনব না।” এর পর থেকে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা টানা শুনানি হয় ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে কর্মসূচির আয়োজন এবং লোকসমাগমের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্যের দুই দুঁদে আইনজীবী। শুনানি শেষে রায় এলো তখন রাত ৮ গড়িয়ে প্রায় সাড়ে ৮ টার দিকে। ততক্ষণে কর্মসূচি শেষ করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বাড়িও ফিরে গিয়েছেন বলে জানা যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে অবশ্য হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.