সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর কাণ্ডে পথে নামলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দক্ষিণ কলকাতার রাস্তায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূল নেতা-অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছেন তিনি। বাম-তৃণমূলের যোগসাজসের অভিযোগ উঠেছে মিছিল থেকে। এদিকে মিছিল নিয়ে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নন্দীগ্রাম থেকে লোক এনে কলকাতায় মিছিল করা হয়েছে। পালটা দিলেন কুণাল।
রবিবার বেলায় দক্ষিণ কলকাতার নবীনা সিনেমা হলের সামনে থেকে মিছিল হয় বিজেপির। কলকাতা হাইকোর্ট আগেই এই মিছিলের রাস্তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাদবপুর থানার আগে ওই মিছিল শেষ হবে। ৭৫০ জনের বেশি লোক মিছিলে অংশ নিতে পারবে না। তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি নেতারা এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে মিছিল শুরু হয়। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ধরে মিছিল যাদবপুর থানার আগেই শেষ হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে অচলাবস্তা চলছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্তা ও তাঁর গাড়িতে ছাত্র জখমের অভিযোগ পালটা অভিযোগে উত্তাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ঘটনার জেরে রাজ্য রাজনীতিতেও শাসক-বিরোধী সুর চড়েছে। এদিন মিছিল থেকে শুভেন্দু অধিকারীও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার জন্য তৃণমূল ও বামেদের নিশানা করেছেন তিনি। মিছিল থেকে ব্রাত্য বসু ও ওমপ্রকাশ মিশ্রের গ্রেপ্তারির দাবি তোলা হয়েছে।
এদিকে মিছিল সম্পর্কে পালটা খোঁচা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “বাসে করে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় মিছিলের জন্য লোক আনা হয়েছে। একাধিক অশুভশক্তি ফায়দা লুটতে নেমেছে। মানুষের কাছে বিষয়টি ক্রমশ ধরা পড়ে যাচ্ছে।” তিনি আরও জানান, যাদবপুরে বাম ও অতি বামদের ন্যক্কারজনক রাজনীতি চলছে। তার সঙ্গে বিজেপির কুৎসিত রাজনীতি রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.